Header Ads

শিলঙে উঠল কাৰ্ফু, বড়দিনের আগে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে শৈল শহর

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ টানা ১০ দিন মেঘালয়ের রাজধানী শিলঙে কাৰ্ফু থাকার পর অবশেষে রবিবার সকালে তা শিথিল করা হল। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন-এর প্ৰতিবাদে শৈল শহর শিলঙেও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে কাৰ্ফু জারি করা হয়েছিল। এদিকে, মেঘালয়ে ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা যাতে বহাল থাকে সে ব্যাপারে  মেঘালয় বিধানসভা কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছে অনুরোধ করবে বলে আগেই  সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 
 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল

অন্যদিকে, ‘সিএএ’-র প্ৰতিবাদে শিলঙের হিংসাত্মক পরিস্থিতি সামলাতে ইন্টারনেটও বন্ধ করে দিয়েছিল প্ৰশাসন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে রাতের দিকে কাৰ্ফু শিথিল করা হচ্ছিল। শিলঙে রাতেও হিংসাত্মক প্ৰতিবাদ হয়েছিল তাই পরিস্থিতি সামলাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্ৰশাসন।

পূৰ্ব খাসি হিলসের জেলাশাসক এনডব্লিউ নংব্ৰি রবিবার সকালে জানিয়ে দেন, রবিবার ভোর চারটে থেকে কাৰ্ফু পুরোপুরি শিথিল করা হয়েছে। খ্ৰিস্টমাস বা বড়দিনের প্ৰাক্কালে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন-এর প্ৰতিবাদ উৎসবের আমেজ অনেকটাই ফিকে করলেও এদিন কাৰ্ফু পুরোপুরি শিথিল করার পর থেকে পথেঘাটে লোকজনের ভিড় দেখা গিয়েছে। উৎসবের মরশুমে বাজারে কেনাকাটা করতে মানুষের ভিড় জমায়েত হয়েছে। বড়দিনের মূল প্রার্থনা হয় রাতে, সেই রাতের বেলায় কার্ফু জারি থাকলে বড়দিনের আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যেত। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর পথঘাট সেজে উঠতে শুরু করে বড়দিনের সাজে। রাস্তায় টাঙানো শুরু হয় ফেস্টুন ও আলোর মালা। প্ৰরোচনামূলক খবর এবং গুজব রটানো রুখতে মোবাইল পরিষেবা এবং মেসেজ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শুক্ৰবার থেকে দুই ই চালু করা হয়েছে। ফলত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শিলঙ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.