উন্নাওয়ের ধৰ্ষিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, গ্ৰেফতার ৫ অভিযুক্ত
নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ উন্নাওয়ের ধৰ্ষিতাকে বৃহস্পতিবার পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সবাই। ৯০ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে লখনৌয়ের এসপিএম হাসপাতালে প্ৰথমে ভৰ্তি করা হয়েছিল। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লির সফদরজঙ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
রবীন্দ্ৰ প্ৰকাশ নামে এক প্ৰত্যক্ষদৰ্শী পুলিশকে জানিয়েছেন- তাঁর কাছেই প্ৰথমে সাহায্য চান উন্নাওয়ের ধৰ্ষিতা। সিন্দপুরের এই ভয়ানক ঘটনা নিয়ে গ্ৰামবাসীরা জানিয়েছেন- গায়ে আগুন নিয়েই সাহায্যের জন্য ছুটছিলেন তরুণী। বেশ খানিকটা পরে রবীন্দ্র প্রকাশকে দেখতে পান তিনি।
প্ৰত্যক্ষদৰ্শী রবীন্দ্ৰ প্ৰকাশের ভাষায়-
“মেয়েটি দৌড়ে আসছিল, ‘বাঁচাও বাঁচাও’ করে চিৎকার করছিল। ও এমন ভাবে জ্বলছিল, আমি নিজেই প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। আমি সামনে পড়ে থাকা একটা ডান্ডাও কুড়িয়ে নিই, আত্মরক্ষা করার জন্য। আমিও চিৎকার করছিলাম ভয়ে। ওই অবস্থাতেই মেয়েটি নিজের পরিচয় দেয়। কিন্তু তবু আমি কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম। ও আমার ফোনটা চায়। দিয়ে দিই। তখন ১১২ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেয় ও নিজেই।”
এদিন সকালে ধৰ্ষণের মামলার শুনানির জন্য নিৰ্যাতিতা আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই রাস্তায় পাঁচজন তাঁকে আটকে দাঁড়ায়। জবরদস্তি তাঁকে টেনে হিচড়ে পাশের ধান ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর তাঁর গায়ে পেট্ৰল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। নিৰ্যাতিতার চিৎকারে ছুঠে আসেন আশপাশের লোকজন। পুলিশে খবর যায়। তারপর নিৰ্যাতিতাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তরপ্ৰদেশের মুখ্যমন্ত্ৰী যোগী আদিত্যনাথ ময়েটিকে যথাসম্ভব উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিৰ্দেশ দিয়েছেন। বৰ্তমানে তাঁর অবস্থা খুবই সংকটজনক। চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে অবজারভেশনে রেখেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মেয়েটির ৯০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
জানা গেছে, লখনৌয়ের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে ম্যাজিস্ট্ৰেটের কাছে জবান বন্দি দিয়েছেন তরুনি। অভিযুক্তদের নামও বলেছেন নিৰ্যাতিতা। তাদের নাম ক্ৰমে হরিশংকর ত্ৰিবেদি, রাম কিশোর ত্ৰিবেদি, উমেশ ত্ৰিবেদি, শিভম এবং শুভম ত্ৰিবেদি। তাদেরকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ।









কোন মন্তব্য নেই