Home
/
জাতীয়-খবর
/
লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা নিঃসঙ্গ নিশাচর পাখি পেঁচা ব্ল্যাক ম্যাজিকের জন্য শিকার হয় বছরে ১৭০০০
লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা নিঃসঙ্গ নিশাচর পাখি পেঁচা ব্ল্যাক ম্যাজিকের জন্য শিকার হয় বছরে ১৭০০০
দেবযানী পাটিকর
কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে যেভাবে পেঁচা দেখা যেত এখন আর তেমন দেখা যায় না ।দিন -দিন আমাদের দেশের পেঁচার সংখ্যা কমে যাচ্ছে ।বর্তমানে এরা বিলুপ্তির পথে।কীটপতঙ্গ পেঁচার খাদ্য ও পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখতে পেঁচার ভূমিকা অতুলনীয়। অন্যান্য পাখিদের সাথে এরা থাকে না ।এরা একাকী নির্জনে বাস করে ও এরা নিশাচর পাখি। অন্ধবিশ্বাস যে পেঁচার ডাক নাকি মৃত্যুকে ডেকে আনে।আবার অনেকে কুসংস্কার গ্রস্ত অশুভ পাখি বলে মনে করে যে মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়ে দেয় এই পেঁচা। বস্তুত এটি একটি অতি উপকারী পাখি। এই পাখিকে নিয়ে পৃথিবী জুড়ে অনেক গল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে। সম্প্রতি পুনের একটি বেসরকারি সংস্থা এলা হেরিটেজ ও মহারাষ্ট্রের সাবিত্রী ফুলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহারাষ্ট্র ফরেস্ট বিভাগ সহযোগিতার এক সেমিনারের আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে।
প্রথমবারের মতো ভারতে পেঁচাকে নিয়ে এই সম্মেলন করা হয়।লোকের মাঝে সচেতনতা আনার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ প্রসঙ্গে ডক্টর সতীশ পান্ডে এলা ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার এবং অর্গানিজিং সেক্রেটারি বলেন যে ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ এখানে পেঁচা কৃষকের ভালো বন্ধু তবে পেঁচা লোকের অন্ধ বিশ্বাসের ও কুসংস্কারের বলি হয়ে ও চোরা শিকারিদের শিকার হয়ে চলেছে। গত এক বছরে ১৭০০০ পেঁচাকে মারা হয়েছে ব্ল্যাক ম্যাজিক এর জন্য। পৃথিবী জুড়েই পাখিটিকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে মধ্যযুগের ইউরোপে পেঁচাকে একটি অশুভ পাখি হিসেবে দেখা হতো এবং এ পাখি দেখার সাথে সাথে পুড়িয়ে মারা হতো ।কেনিয়ার একটি উপজাতিগোষ্ঠী রয়েছে যাদের কাছে এই পাখি হলো চরম বিভীষিকা আর বর্তমানে পরিবেশবিদদের মতে একটি পরিবেশবান্ধব পাখি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পেঁচার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ।পেঁচাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এই ধরনের কাজ করার অন্যতম কারণ হলো এই পাখির দেখা সহজে পাওয়া যায় না।আর দেখতে অন্য পাখিদের থেকে অনেকটাই আলাদা ।নিশাচর পাখি পেঁচা অনেকটাই নিঃসঙ্গ ও বটে। শুধুমাত্র উৎসের উপর ভিত্তি করে এরা নিকষ অন্ধকারেও শিকার কিরতে সক্ষম। গাছের কোটরে ,অপেক্ষাকৃত ঘন অন্ধকারে স্থানে পোড়ো বাড়িতে পেঁচা বাস করে। এই সম্মেলনে পেঁঁচার ওপর বিজ্ঞানসম্মত ও সংরক্ষণের উপর আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞের মতে এই পাখিকে ক্রমাগত মেরে ফেলার ফলে বিলুপ্তির পথে চলে এসেছে গত এক দশকে পেঁচার সংখ্যা অনেক কমেছে ।শিকার হয়েছে অনেক । অন্ধবিশ্বাসের জন্য এই সংখ্যা দিনদিন অবলুপ্তির পথে এই সম্মেলনের অন্য একটি উদ্দেশ্য ছিল যে লোকের মনে অন্ধবিশ্বাস দূর করা ।পেঁচা মানুষের উপকারী পাখি, কৃষকের বন্ধু ও পোকামাকড় ইত্যাদিকে খেয়ে জমি রক্ষা করে কৃষকের সহায়তা করে।পেঁচা কে নিয়ে একটি প্রদর্শনী ও করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই