Header Ads

গান্ধীর ১৫০তম জন্মতিথি বিধানসভায় শান্তি-সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘স্পিকার ইনিসিয়েটিভ’ কর্মসূচিতে এক প্রাসঙ্গিক ইস্যু, আলােচনার জন্য সুযােগ দেওয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি জাতির পিতার জীবনাদর্শ মেনে মানুষের লােভ, ক্রোধ সংযম করে, শান্তি ও সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে বিলাস-বৈভব পরিত্যাগ করে মিলনপ্রীতির মাধ্যমে মানুষের সেবা করার আহ্বান জানান জনপ্রতিনিধিদের। মহাত্মা গান্ধীকে ঈশ্বরের বিশেষ দান বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধী ভারতীয় সমাজের মানবীয় মূল্যবােধ, সততা, স্বাভিমান আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন। তিনি ছিলেন সত্যের পূজারি। অহিংসা হল তাঁর জীবনের পরম ধর্ম। বিশ্বের জননেতা মার্টিন লােথার কিং, নেলশন ম্যান্ডেলা, বারাক ওবামা মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতিকে তাদের জীবনাদর্শ করে তুলেছিলেন। জাতির জনক বলতেন ভারত বাস করে গ্রামে। তাঁর এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বর্তমান পঞ্চায়েত ব্যবস্থা, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের এক অনন্য কর্মপন্থা। তাঁর ন্যায় সততা মানবতাবােধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সুধাকণ্ঠ গান বেঁধেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের হাত থেকে অসমকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলের ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, গান্ধীজি ১৯৪৬ সালে গুয়াহাটি শরণীয়া পাহাড়ে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। শুয়ালকুচিতে গিয়ে মহিলা তাঁতিদের গামােছা তৈরি দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, এখানকার মহিলারা স্বপ্নও বুনতে পারে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিও বাপুজির নীতি আদর্শকেই পাথেও করেই ‘সবকা সাথ সব বিকাশ’-এর নীতি গ্রহণ করেছেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযান নীতি গ্রহণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী শুরুতে জাতির পিতার ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর স্বপ্নের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি আজ গুয়াহাটির রাজপথে আসার সময় দেখেন, রাস্তাঘাটগুলি যেখানে রং করা হয়েছে, সেখানে পানের পিক ফেলে নােংরা করা হয়েছে। তাতে আমাদের লজ্জা হয় বলে মন্তব্য করে বলেন, মহাত্মা গান্ধীর ন্যুনতম আদর্শ আমরা পালন করি না। তিনি বরাবর স্বচ্ছতার কথাই বলেছেন। আমরা তা নিজস্ব জীবন যাপনের ক্ষেত্রে মেনে চলি না। সত্য, অহিংসা হল জীবনের ধর্ম। আমরা উত্তেজিত হয়ে এমন সব পরিভাষা ব্যবহার করি, যার ফলে দুষ্কৃতিরাইপ্রশ্রয় পেয়ে যায়। বিশ্বের মানব সমাজ আমাদের অহিংসার গুরুমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছে। আমাদের আদর্শকে মেনে নিয়েছে। তাই জাতির পিতা আমাদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল, জীবনপথের পাথেয়।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ২১ শতকে বিজ্ঞান প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির সময়েও মহাত্মা গান্ধীর প্রাসঙ্গিকতা এতটুকু হ্রাস পায়নি। আমরা ধর্মের নামে, ভাষার নামে, জাতির নামে কাজিয়া করে থাকি। বিধানসভায় উপবিষ্ট কংগ্রেস সদস্য রকিবুল ইসলামকে নিজের বলে ভাবতে পারি না। বাংলাদেশি বলে তাকে দূরে সরিয়ে দিই। হিন্দু-মুসলিমদের সমান চোখে দেখে উপযুক্ত মর্যাদা দিয়েছিলেন গান্ধীজি। তাঁর এই অহিংসা আন্দোলনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে অসমের কমলা মিরি, কনকলতা, তরুণরাম ফুকন, মহেন্দ্রমােহন চৌধুরী প্রমুখরা স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মনিয়ােগ করেছিলেন। গােপীনাথ বরদলৈয়ের বাড়িতে তিনি বিদেশি কাপড়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিদেশি কাপড় জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে, দলিতদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তােলার লক্ষ্যে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে সচেষ্ট ছিলেন। ধর্মগ্রন্থ শুধু ‘গীতা’ নয়, বাইবেল’, ‘কোরাণ’কেও সমান গুরুত্ব দিতেন তিনি। তিনি দেশ বিভাজনের ঘাের বিরােধী ছিলেন। হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সর্বোতভাবে তিনি চেষ্টা করেছিলেন। হিন্দু, মুসলিম সংঘর্ষ প্রতিরােধে তিনি অনশন পর্যন্ত করেছিলেন, দাঙ্গা থামাতে নােয়াখালি ছুটে গিয়েছিলেন। মহাত্মা গান্ধী পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করতেন। সেইমহাত্মা গান্ধীকে নাথুরাম গল্স কেন হত্যা করল ? আজও সেই প্রশ্ন সকলকে ভাবিয়ে তােলে। বিষাক্ত পরিবেশ আজও বিদ্যমান। তা দূর করতে হবে। তা দূর করতে পারলেই অসমের সমাজ ব্যবস্থা সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে।নতুবানয়।পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি মহাত্মা গান্ধীকে অহিংসার পূজারি বলে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অহিংসার নীতি প্রবর্তনের ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। দেশজ চিকিৎসা আয়ুর্বেদ শাস্ত্র, যােগাভ্যাস, হােমিওপ্যাথ ওষুধ প্রভৃতির জনক ছিলেন। তাঁরইপথ অনুসরণ করে আজ কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুস্মান ভারতের মতাে স্বাস্থ্য নীতি প্রবর্তন করেছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আত্মনির্ভরশীল ভারত গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আজও সারা দেশ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি তাঁর জীবন দর্শনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আজ স্বচ্ছ ভারতের কথা বলা হচ্ছে। গান্ধীজি নিজের শৌচালয় নিজে সাফ করতেন। স্বচ্ছতার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা ছিল। মহাত্মা গান্ধী ১৯২১ সালে অসমে এসেছিলেন। শুয়ালকুচিতে গিয়ে ফুলাম গামােছা তৈরি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর হাত ধরেই অসমে বুনিয়াদি শিক্ষার প্রচলন করা হয়। কাপড় বুনা, সূতা কাটা প্রভৃতি কর্মশিক্ষার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তােলাই গান্ধীজির লক্ষ্য ছিল। তিনি মহাত্মা গান্ধীর জীবনের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, তাঁর খেলাধূলার প্রতি কোনাে আগ্রহ ছিল না। শুধুই বইপত্র নিয়েই থাকতেন। গান্ধীজি মাত্রা ১৩ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন। তাঁর পত্নী কস্তুরবার বয়স ছিল ১৪। এক বছরের বেশি বয়স ছিল পত্নীর। গুজরাটের প্রথা মেনে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাঁকে লন্ডনে গিয়ে ব্যারিস্টার পড়ার ক্ষেত্রে নানা বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। বলা হয়েছিল, লন্ডনে গেলে তাঁর নারী সঙ্গ, নেশায় আকৃষ্ট হয়ে থাকবে। পড়াশােনা হবে না। কিন্তু সব কিছু অগ্রাহ্য করেও মায়ের আদেশে লন্ডনে যান। সেখানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাতে জীবিকা নির্বাহের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েও প্রবাসী ভারতীয়দের আন্দোলনে শরিক হন। নতুন প্রজন্মকে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহন্ত।।
বিরােধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর গান্ধীকে ‘মহাত্মা’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। গান্ধীজি ১৯২১ সালে প্রথম অসমে এসেছিলেন। আজ দেশে গাে-হত্যা করে মাংস খাওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যালীলা চলছে। কিন্তু গান্ধীজি খাদ্যাভাস সম্পর্কে বলেছিলেন, ভারতে বিভিন্ন খাদ্যের প্রচলন আছে। কেউ হিন্দু, কেউ বা মুসলিম। নিজস্ব খাদ্যাভাস আছে। তাই যে কোনাে খাবার খাওয়ার অধিকার সবার আছে। তিনি হিন্দু-মুসলিম মিলন প্রীতির উপর জোর দিয়েছিলেন। বিদ্বেষ মূলক কোনাে মনােভাব ছিল না। যােরহাট, নগাঁওয়ে হিন্দু-মুসলিম মানুষদের মধ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন গান্ধীজি। চা শ্রমিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করার কথা বলেছিলেন। চা বাগানগুলিতে নেশা জাতীয় সামগ্রী বিক্রির বিরােধিতা করেছিলেন। আজ মহাত্মা গান্ধীর ‘লােগাে’ব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাঁত শিল্পীরা দুরবস্থায় আছেন। অসমে মহিলাদের জন্য কোনাে শৌচালয় পর্যন্ত নেই, অথচ রাজনীতি আছে। গান্ধীজি অসমে খাদি আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। এখানে খাদি উদ্যোগের অবস্থা শােচনীয়। প্রতিটি মহকুমায় গান্ধী ভবন নির্মাণের দাবি জানান দেবব্রত। তিনি বিভিন্ন ঘটনাক্রম তুলে ধরে বলেন, গান্ধীজির জীবনাদর্শকে নেশন ম্যান্ডেলার মত মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। নেলশন ম্যান্ডেলাও প্রতিপদে গান্ধীজির ক্ষমা-ত্যাগ, অহিংসানীতিকে অনুসরণ করতেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নেলশন ম্যান্ডেলার এক ঘটনার কথা তুলে ধরে বলেন, নেলশন ম্যান্ডেলা জেলে থাকার সময় তার এক পুলিশ তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করতেন। একসময় সেই পুলিশ ম্যান্ডেলার দেহরক্ষী হিসাবে নিয়ােজিত হন। কিন্তু ম্যান্ডেলা তাকে ক্ষমা করে দেন। বিজেপির রঞ্জিত দাস বলেন, অসমে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। তা সরভােগ কেন্দ্রে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করে বৃহৎ গান্ধী ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার জন্য তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৃন্দাবন গােস্বামী গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তাঁর সৎ ভাবনা, সৎ কর্ম, সৎ চিন্তা ছিল জীবনের মূল মন্ত্র। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনাে কিছুই মেনে চলি না। আমাদের কাজের সঙ্গে কর্মের বহু ফারাক। আজকের এই ব্যতিক্রমী বিধানসভার জন্য অধ্যক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বৃন্দাবন। তিনি বলেন, ছবিলাল উপাধ্যায়, চন্দ্ৰ নাথ শর্মা প্রমুখদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মনিয়ােগ করার ক্ষেত্রে মহাত্মা গান্ধীর অবদান ছিল।রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম, অসমিয়া বাঙালি সহ বিভিন্ন জনগােষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাসের বাতাবরণে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গান্ধীজির আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের প্রগতিশীল সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে বিধানসভাকে এগিয়ে আসতে হবে। এআইইউডিএফের আমিনুল ইসলাম আলােচনায় অংশগ্রহণ করে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করে বলেন, গান্ধীজির জীবনাদর্শ আজও যুগােপযােগি প্রাসঙ্গিক তার ধর্ম নিরপেক্ষতা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠার প্রতি শ্রদ্ধা ছিল অসীম। কল্যাণকামী ভারতের প্রবক্তা ছিলেন তিনি। তিনি ভারতকে বিভাজনের জন্য জিন্না-নেহরুর ভূমিকাকে দায়ী করেন। তিনি নােয়াখালির হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা প্রতিরােধে গিয়েছিলেন। তখনইজিন্না-নেহরু যৌথভাবে ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাঁর অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন ব্যর্থ হয়। এরকম এক মহান ব্যক্তিকে নাথুরাম গড়সে হত্যা করে। ১৯৪৬ সালে লাহাের কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের সময় মহাত্মা গান্ধী চেয়েছিলেন অন্য কোনাে ধর্মের মানুষ সভাপতি পদে বসুক। কিন্তু তা হয়নি। কিন্তু তাকে অপপদ দেওয়া হয়েছিল। বিদ্যালয়গুলিতে গান্ধীজির জীবনাদর্শ তুলে ধরে পাঠ্যক্রম তৈরির জন্য পরামর্শ দেন। এই পাঠ আত্মস্ত করতে পারলে অসমকে অহিংসা গ্রাস করতে পারবেনাবলে তিনি মন্তব্য করেন। বিপিএফের রবিনাম নার্জারি স্বাধীনতা সংগ্রামে গান্ধীজির আত্মত্যাগ, তাঁর জীবনাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর আদর্শকে হত্যা করা যায়নি। তাঁর নীতি আদর্শ আজও সমানভাবে বহমান। বর্তমানে রাজ্যে মিসিং, তিওয়া,বড়াে প্রভৃতি জনগােষ্ঠীর মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা আন্দোলন মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের মধ্যে মিলনপ্রীতির প্রয়ােজন আছে। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের চলতে হবে। নির্দল সদস্য ভুবন পেগু গান্ধীজির জীবনাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিমূর্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশ্বের নেতারা বলেছিলেন, যে ব্যক্তি বৃটিশরাজকে ধ্বংস করল তাঁরই প্রতিমূর্তির প্রতি আমাদের এই শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, এর থেকে বড় বিরল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন আর কি হতে পারে? আজ টিভি খুললেই হত্যা-হিংসার ছবি পাওয়া যায়। এক সপ্তাহে দু’জন মহিলাকে হত্যা করে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা আদর্শ মেনে চললে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হতাে না। অহিংসার পূজারি মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে অসম বিধানসভায় দিনভর আলােচনা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে এক ভালাে বার্তা যাবে, অনুপ্রেরণা জোগাবে।
নয়দিন ব্যাপী বিধানসভার শেষ দিনে অধ্যক্ষ হিতেন্দ্রনাথ গােস্বামী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরােধীদলপতি সহসব সদস্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে জানান, আজকের মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মতিথির শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আজকের দিনটিকে তাঁর প্রতি উৎসর্গ করা হল।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.