Header Ads

মুসলিমদের কাছে ১৫০ টি বিকল্প আছে, হিন্দুদের জন্য শুধু ভারত : নীতিন গড়কড়ি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

নাগরিক আইন নিয়ে দেশ জুড়ে চলা বিক্ষোভ প্রদর্শনের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি রবিবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি জনসভায় অংশ নেন। নাগরিক সংশোধন আইনের সমর্থনে হওয়া এই সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি বলেন, ‘হিন্দুত্ব কারোর বিরুদ্ধে নয়। CAA এর জন্য মুসলিমদের কোন সমস্যা হবেনা। শুধু ভারতই হিন্দুদের শরণ দিতে পারে, ভারত সবাইকে আপন করে নিতে পারে।”

গড়কড়ি আরও বলেন, ‘নাগরিক আইনের জন্য কোন ভারতীয় মুসলিমকে বিপদে পড়তে হবেনা। এই আইনে শুধু তিনটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান আর পাকিস্তান থেকে ধর্মের কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে এসে মাথা গোঁজা সংখ্যালঘুদের ঠাই দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমি আমার মুসলিম ভাইদের কাছে আবেদন করছি যে, কংগ্রেস বিভ্রান্তি মূলক প্রচার চালিয়ে আপনাদের ভুল বোঝাচ্ছে। আপনাদের তাঁরা শুধু ভোট মেশিন হিসেবেই দেখছে।”
মোদী সরকারে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি বলেন, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বিরোধী দল গুলো মুসলিমদের উসকানি দিচ্ছে--তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে, তারা বলছে যে, ইসলাম খতরে মে হ্যায়। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা এরকম কিছুই না। গড়কড়ি বলেন, ‘আমরা সালমা আর আদনান সামিকে ভারতের নাগরিকত্ব দিয়েছি। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, আমরা কারো বিরোধী নয়।”
তিনি বলেন, ‘সংবিধানে লেখা আছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, জৈন, পারসি, ইসাই আর বৌদ্ধরা যদি প্রাণ বাঁচাতে ভারতে আসে তাহলে তাদের শরর্ণার্থী বলা হবে। আপনারা জানতে চাইবেন যে, কেন মুসলিমদের শরণার্থী বলা হয় না? ডঃ ভিম রাও আম্বেদকর সংবিধানে তার কারণ স্পষ্ট লিখে দিয়ে গেছেন।”
নীতিন গড়কড়ি বলেন, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ ইসলামিক রাষ্ট্র আর ১০০ থেকে ১৫০ এমন দেশ আছে যারা নিজেদের ইসলামিক রাষ্ট্র বলে দাবি করে। উনি বলেন, ডঃ আম্বেদকর সংবিধানে বলেছেন যে, যদি এই দেশের মুসলিমরা নিজেদের দেশ ছেড়ে দেয়, তাহলে তাঁদের কাছে ১০০ থেকে ১৫০ টি বিকল্প আছে। আর তারা বিশ্বের যেকোন মুসলিম দেশে শরণ নিতে পারবে। কিন্তু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি আর ইসাইদের জন্য কোন দেশ নেই। তাদের জন্যে একটাই দেশ--ভারতবর্ষ এবং আমাদের দেশ সবাইকে আপন করে নেয়।”

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.