Header Ads

অসমে সিএএ-র বিরুদ্ধে হিংসাত্মক বিক্ষোভের জের, নজরে রাখা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া, জানালেন অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ  নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অৰ্থাৎ সিএএ-র এবং এনআরসি-র প্ৰতিবাদে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে গোটা অসমে যেমন হিংসাত্মক প্ৰতিবাদ হল তা গত তিন দশকে এ রাজ্যে দেখা যায়নি। হিংসাত্মক প্ৰতিবাদে নষ্ট হয়েছে জনগণের সম্পত্তি। বাসস্ট্যান্ড, দোকানপাট, বহু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ জনতার সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে পুলিশের গুলিতে প্ৰাণ গিয়েছে চার জনের। আহত হয়েছে শতাধিক।
 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল

 হিংসাত্মক প্ৰতিবাদের তথ্য সরকারের কাছে ছিল না বলে সোমবার স্বীকার করল রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে সরকারের তরফে এও জানানো হয় সোশ্যাল নেটওয়াৰ্কিং সাইটগুলিতে কোনও ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়া হচ্ছে কিনা তার ওপর প্ৰশাসনের পক্ষ থেকে লাগাতার নজর রাখা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা জানান- গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এখন পৰ্যন্ত ২০৬ টি পোস্ট নজরে পড়েছে রাজ্য প্ৰশাসনের। তিনি আরও জানান- সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখা হচ্ছে। এখন পৰ্যন্ত ২৮ টি কেস রেজিস্টার করা হয়েছে। গ্ৰেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে। তার মধ্যে পাঁচ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিদ্ৰোহকারীর মধ্যে আরও ২১ জনকে পুলিশ ধরেছে, অভিভাবক সমেত তাদের কাউনসেলিং করার পর ভবিষ্যতে এধরনের অসাংবিধানিক কাজ আর করবে না প্ৰতিশ্ৰুতি নেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
সাম্প্ৰদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো অথবা জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করার পেছনে যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ৯ ডিসেম্বর থেকে এখনও পৰ্যন্ত রাজ্য পুলিশে ২৪৪ টি মামলা দায়ের হয়েছে। গোটা অসমে ৩৯৩ জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে।
সিএএ-র ফলে নাকি বাংলাদেশী মানুষ অসমের চা বাগানে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ পাবে, এ ধরনের গুজব যারা ছড়িয়েছে তাদের সতৰ্ক করে দেন রাজ্য অৰ্থমন্ত্ৰী।  সেইসঙ্গে তিনি এও বলেন- গত ১১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যে সাম্প্ৰদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোয় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।     

প্ৰসঙ্গক্ৰমে মন্ত্ৰী শৰ্মা এও বলেন- সিএএ -র বিরুদ্ধে যে এইরকমভাবে হিংসাত্মক প্ৰতিবাদ হবে তা অসম পুলিশের চিন্তা ভাবনার অতীত ছিল।
  একাংশ কংগ্ৰেস কৰ্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা।
গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকার ডিপুটি ইনসপেক্টর জেনারেল (সিআইডি) মৃদুলানন্দ শৰ্মার নেতৃত্বে এসআইটি গঠন করেছে। তদন্তে এসআইটিকে সাহায্য করতে সিবিআই বা এনআইএ-র দলকে পাঠাতে কেন্দ্ৰকে আবেদন করা হবে বলে তিনি জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.