Header Ads

নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে অশান্ত অসম, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে আনতে জারি করা হয়েছে কাৰ্ফু

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (সিএবি) পেশ হওয়ার পর থেকে আরও অশান্ত হয়ে পড়েছে অসমের পরিস্থিতি। বুধবার গুয়াহাটির বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার প্ৰতিবাদকারী রাজপথে বেড়িয়ে আসে। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান থেকে ছাত্ৰছাত্ৰীরা ক্যাব বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়। পরিস্থিতি  সামলাতে রাজ্যের বঙাইগাঁও জেলায় পাঠানো হয় সেনাবাহিনীর একটি দল। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ইতিমধ্যেই ১০ কোম্পানির সিআরপিএফ মোতায়েন হয়েছে। গুয়াহাটিতে পরিস্থিতি সামলাতে কাৰ্ফু জারি করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যে ৬টা ১৫ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা ১৫ পৰ্যন্ত কার্ফ জারি করা হয়েছে।
ছবি, সৌঃ নৰ্থইস্ট নাও

মঙ্গলবার তো বন্ধ ছিলই। বুধবারও অসমের ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় বনধ ডাকে রাজ্যের সব ছআত্ৰ সংগঠন এবং নৰ্থইস্ট স্টুডেন্টস অৰ্গানাইজেশন। এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, এআইএসএফ, আইসা-সহ একাধিক বামপন্থী ছাত্র সংগঠনও সামিল হয়েছে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিলে। মহানগরের চানমারি, জু তিনালি, গণেশগুরি, জিএস রোড, দিসপুর লাস্টগেট, ফরেস্ট গেট, ভেটাপাড়া সমেত বিভিন্ন জায়গায় প্ৰতিবাদকারীরা ক্যাব বিরোধী স্লোগান দিয়ে সরব হয়। হাতে হাতে প্ল্যাকাৰ্ড নিয়ে, ‘জয় আই অসম’, ‘ওলাই আহ’, ‘মোদি সরকারা হায় হায়’ এইসব  স্লোগানে উত্তাল করে তোলে গুয়াহাটির রাজপথ। এদিন দিসপুর জনতা ভবনের সামনে বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে প্ৰতিবাদকারীরা। লাস্টগেটে পুলিশের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে প্ৰতিবাদ করে ক্যাব বিরোধীরা। প্ৰতিবাদকারীদের মধ্যে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস, গুলি ছুড়তে হয়। জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার দেবরাজ উপাধ‍্যায়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।


লখিমপুর, ধেমাজি, তিনসুকিয়া, চরাইদেউ, কামরূপ(রুরাল), কামরূপ (মেট্ৰো), ডিব্ৰুগড়, যোরহাট সমেত ১০ টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার খবর মিলেছে। ডিব্ৰুগড়ে পাঠানো হয়েছে পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ৫ হাজার আধা সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজেপির সদর দফতার, আগম গণ পরিষদ অফিস, দূরদৰ্শন কেন্দ্ৰ, রাজ্যের মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার স্ত্ৰী রিনিকি শৰ্মার মালিকানা বেসরকারী টিভি চ্যানেলের সামনে ধৰ্নায় বসেন ক্যাব বিরোধীরা। তারা নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে সরব হন। চলতে থাকে বিল বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান।
অন্যদিকে, এদিন ঢেকিয়াজুলিতে মন্ত্ৰী পল্লব লোচন দাসের গাড়িকে আটকায় প্ৰতিবাদকারীরা। পরিস্থিতি গরম হওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল সমেত রাজ্যের একাধিক মন্ত্ৰীর কনভয়ের রুট বদলে দেওয়া হয়। এনএফ রেলওয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়- প্ৰতিবাদ অবরোধের জন্য বহু ট্ৰেন বাতিল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আগের থেকে নিৰ্দিষ্ট করে রাখা ট্ৰেন যাত্ৰা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্ৰা।   


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.