ঝাড়খণ্ডে একা লড়ে ভরাডুবি নীতীশ ও পাসোয়ানের, প্রভাব পড়বে বিহারেও !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ
২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বেচন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন বিহার নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসাবে ধরা হচ্ছে। এদিকে বিহারে বিজেপির শরিক দল লোক জনশক্তি পার্টি ও জনতা দল ইউনাইটেড ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয়। যা এনডিএ জোটের জন্য এক অশনি সঙ্কেত হিসাবে দেখা হয়েছিল।
তবে বিজেপির সঙ্গে জোটে না গিয়ে একা লড়ে ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছে জেডিইউ ও এলজেপি। কোন আসন তো ছাড় ভোট শতাংশের নিরিখে তারা সারা রাজ্যে পেয়েছ মাত্র ০.৬৯ শতাংশ ভোট। এদিকে পাসোয়ানের এলজেপির হাল আরও বাজে। তারা পেয়েছে মাত্র ০.২৮ শতাংশ ভোট।
প্রসঙ্গত, এদের থেকে বেশি ভোট পড়েছে নোটাতে ! এআইএমআইএমও বেশি ভোট পেয়েছে এদের থেকে। জাতীয় দল হওয়ার লক্ষ্য জেডিইউ-র এর আগে জেডিইউ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল যে বিজেপির সঙ্গে তাদের শরিকি সমপর্ক শুধু মাত্র জাতীয় স্তরে থাকবে। রাজ্যস্তরের সব নির্বাচন জেডিইউ একা লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছিল। সেই মতোই ঝাড়খণ্ডে বিজেপির বিরুদ্ধে ২৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল জেডিইউ।
এর আগে ২০১৪ সালে বিজেপির সঙ্গ ছাড়াই ১১টি আসনে প্রার্থী দিয়েও কোনও আসনেই জেতেনি জেডিইউ।
দিল্লি ও কাশ্মীরেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে জেডিইউ। ২০২০ সালের মধ্যে জাতীয় দল হিসাবে মান্যতা পেতে এমনিতেই মরিয়া জেডিইউ। এর মাঝেই ঝাড়খণ্ডে দলের কর্মীরা মনে করেন যে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ায় লোকশান হয়েছে জেডিইউ-র। ঝাড়খণ্ড ছাড়াও দিল্লি এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে জেডিইউ। কিন্তু ঘরেই যাদের বে-ঘর হওয়ার অবস্থা তারা ভিন রাজ্যে কতটা কি করতে পারবে সেটা কারুরই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।









কোন মন্তব্য নেই