Header Ads

রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে কটাক্ষ পড়ুয়াদের, বিক্ষোভের মধ্যেই উঠল পদত্যাগের দাবি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

রাজ্যপালকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি তুলে দিলেন ছাত্ররা। ছাত্ররা রাজ্যপালকে মুখোমুখি জানাল, ‘আমরা আপনাকে চ্যান্সেলার বলে মানছি না।’ তাদের দাবি, রাজ্যপাল আদৌ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না। 


সিএএ-এনআরসি-এনপিআর নিয়েও যে মত পোষণ করছেন তাঁকে রাজ্যপাল নয় পদ্মপাল বলেই মনে হচ্ছে ! ছাত্রছাত্রীরা এদিন কোনও নির্দিষ্ট ব্যানারে বিক্ষোভে সামিল হয় নি। সমস্ত সংগঠনের তরফে শুধু কালো পতাকা আর সিএএ-এনআরসি বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভত্র দেখায়।
তারা এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়ে ও নির্দিষ্ট কিছু স্লোগান তুলে বুঝিয়ে দেয়, রাজ্যপাল নির্দিষ্ট একটি পার্টির হয়ে কথা বলছেন। তাঁর কথায় রাজ্যপাল সুলভ কথাবার্তা এখনও বলতে পারেননি তিনি। তাঁর মধ্যে পক্ষপাতদুষ্টতা প্রবল।
এদিন রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়। কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ৪৫ মিনিটেরও বেশি আটকে থাকার পর তাঁকে বৈঠকে ঢুকতে দেয় বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। (https://twitter.com/ANI/status/1209035696348049408)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে রাজ্যপালকে আটকে গো ব্যাক স্লোগান চলতে থাকে। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে ফিরে যেতে বলে পড়ুয়ারা। যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শিক্ষাবন্ধু ও শিক্ষক সংগঠনের একাংশও এই বিক্ষোভে সামিল হন। পড়ুদায়ের দাবি রাজ্যপাল নিরপেক্ষ ভূমিকা স্থাপন করতে পারেননি। নাগরিকত্ব সংসোধন বিল নিয়ে তাঁর ভূমিকা রাজ্যপাল সুলভ নয়। তাঁকে আমরা বকট করছি। বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর হিসেবেও তাঁকে আমরা মানি না। রাজ্যপালের গাড়িকে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা।
বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে যে জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছিল, সেদিন যেখান থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে এনেছিলেন রাজ্যপাল স্বয়ং, এদিন সেখানেই আটকে পড়লেন তিনি। রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর দেহরক্ষীরা চেষ্টা করেও রাজ্যপালকে বের করে আনতে পারেননি ওই পরিস্থিতি থেকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই। তারপর রবিবার রাতেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে বিজেপির লোকজন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাতেও চাপা উত্তেজনা ছিল যাদবপুরে। তারপর রাজ্যপালের সমাবর্তন নিয়ে হুঁশিয়ারিতে ফুঁসছিল পড়ুয়ারা। তারই বহিঃপ্রকাশ এই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন ও রাজ্যপালকে আটকে রাখা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.