Header Ads

JNU কে ২ বছর বন্ধ রাখা হোক এবং নাম পাল্টে সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রাখা হোক--সুব্রহ্মণ্যম স্বামী !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 

বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তার দুর্দান্ত সব মন্তব্যের জন্য সর্বদা খবরের শিরোনামে থাকেন। তা সে রামসেতু রক্ষার লড়াই হোক, রাম মন্দির নির্মাণ এর লড়াই হোক বা গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই--সবক্ষেত্রে এগিয়ে থাকেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এমনকি দেশের আর্থিক বিকাশ বৃদ্ধির জন্য তার মন্তব্য জনতার কাছে বেশ উপভোগ্য হয়ে থাকে। এমন কী নিজের পার্টির ভুল ত্রুটি ধরতেও পিছুপা হন না সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সম্প্রতি JNU নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই এর সমাধানের জন্যেও একটা প্রায় বিস্ফোরক পরার্মশ দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। দিল্লীর JNU অর্থাৎ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফীস বৃদ্ধি নিয়ে ছাত্ররা গণ্ডগোল শুরু করেছে। মূলত বামপন্থী ছাত্রদের নেতৃত্বে এই উপদ্রব হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।


উপদ্রব এমন চরম সীমায় পৌঁছে গেছে যে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি পর্যন্ত ভেঙে ফেলা হয়েছে।
JNU-এর এই সমস্যা সমাধানের জন্য স্বামী বলেছেন সরকারের উচিত ২ বছরের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া। ২ বছর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন নাম দিয়ে খোলা উচিত বলেও দাবি করেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। JNU এর নাম পাল্টে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রাখার দাবি রেখেছেন স্বামী। আপাতত ছাত্রদের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সফার করার কথাও বলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে উনি বলেন, নেহেরুর নামানুসারে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানের নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে রাখা উচিত। এর ফলে ছাত্রদের উপর এর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারJNU পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক নিযুক্ত একটি কমিটি মঙ্গলবার তার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং এর সুপারিশগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ফীস বৃদ্ধি নিয়ে JNU ছাত্ররা যে আন্দোলন ও উপদ্রব করছে তা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আসলে JNU এর কাছাকাছি থাকা দিল্লী ইউনিভার্সিটি ও দিল্লী IIT-এর ছাত্ৰছাত্রীরা অনেক বেশি ফীস দিয়ে হোস্টেল খরচ চালায়। অন্যদিকেJNU এর ছাত্ররা খুব কম খরচে সুবিধা পায়। এখন সরকার JNU এর ফীস সামান্য বৃদ্ধি করতে চাইলে সেটা নিয়েও ছাত্ররা উগ্র হয়ে উঠছে এবং স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙা, দেওয়ালে গেরুয়া বিরোধী কথাবার্তা লেখার মতো কাজও করছে। যা কোনোভাবেই শান্তিপূর্ন আন্দোলন বা ছাত্রসুলভ আচরণ নয় বলেই মনে করছে সরকার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.