Header Ads

উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলে উপস্থিত থাকবেন না কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, কংগ্রেস আর এনসিপি জোট করে সরকার গড়ছে। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। আর এর মধ্যেই খবর হল, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।
যখন শিবসেনা আর কংগ্রেসের মধ্যে জোট হওয়ার কথা চলছিল, তখনও রাহুল গান্ধী এসব থেকে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, কেরল কংগ্রেস শিবসেনার সাথে জোট করা নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছে। আর এর জন্যই সম্ভবতঃ ওয়ানাড এর সাংসদ রাহুল গান্ধী শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন।


প্রসঙ্গত, শিবসেনার তরফ থেকে বলা হচ্ছে যে, তিন দলের বড় নেতাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর এখনো পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে যাওয়ার কোন খবর নেই। আরেকদিকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়া নিজে যাবেন--তবুও তিনিও উপস্থিত থাকবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় !
শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ২৮ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। শোনা যাচ্ছে যে, ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬-৩০ মিঃ নাগাদ উনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন। ঠাকরে রাজ্যের শীর্ষ রাজনৈতিক পদে পৌঁছুনো পরিবারের প্রথম সদস্য হতে চলেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে নির্দেশ দেয় যে, উনি যেন বুধবার সন্ধে ৫ টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন।
কোর্ট জানায়, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করায় দেরি করলে ‘ঘোড়া কেনা বেচা” এর আশঙ্কা থেকে যায়। আরেকদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য বিধায়কদের একজোট করার চেষ্টা করার আগেই এনসিপি বিধায়ক অজিত পাওয়ার উপ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। এরপর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ প্রেস কনফারেন্স করে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। ফড়নবিশ বলেন, অজিত পাওয়ার নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ওঁর কাছে আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.