Header Ads

ছয়মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মচারীর ধরনা কার্যসূচি

বিপ্লব দেব, হাফলংঃ 

বেতনের দাবিতে এবার আন্দোলনমুখী হয়ে উঠল জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ২৮২ জন কর্মচারী। ডিমা হাসাও জেলায় বিভিন্ন সরকারি বিভাগের কর্মচারীদের বেতন অনলাইন সিস্টেম হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সরকারী বিভাগে রিটেনশন না থাকা কর্মচারীদের বেতনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। 


গত মে মাস থেকে সরকারী বিভাগ গুলির কর্মচারীদের বেতন অনলাইন সিস্টেমে হচ্ছে। তবে রিটেনশন সমস্যায় এখন হাফলং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ২৮২ জন কর্মচারীর বেতন গত মে মাস থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে। গত ছয়মাস থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের এই ২৮২ জন কর্মচারী বেতনহীন হয়ে পড়ায় এদের পরিবার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এমনকি ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার খরচ চালাতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই সব কর্মচারীর। তাই ছয়মাস থেকে বেতনহীন হয়ে পড়ায় এই ২৮২ জন কর্মচারী এবার আন্দোলনমুখী হয়ে উঠেছে। বাধ্য হয়ে বুধবার থেকে বেতনের দাবিতে দুদিনের ধরনায় বসে এই ২৮২ জন কর্মচারী বুধবার সকাল ১০ টা থেকে হাফলং জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ কার্যালয় চত্বরে নো পে নো রেষ্ট পিনাকী শঙ্কর কর গো ব্যাক পিনাকী শঙ্কর কর মূর্দাবাদ ধ্বনিতে উত্তাল করে তোলে সমগ্র পরিবেশ। 

বেতনহীন জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মচারীদের অভিযোগ গত ছয়মাস থেকে তারা বেতনহীন অবস্থায় রয়েছেন কিন্তু জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অভিযন্তা পিনাকী শঙ্কর কর তাদের বেতন সমস্যা সমাধানে কোনও পদক্ষেপই গ্রহন করেন নি। এমনকি বেতন সমস্যা নিয়ে পিনাকীবাবুর সঙ্গে কর্মচারীরা আলোচনা করতে গেলেই তিনি কর্মচারীদের সঙ্গে দূর্ব্যবহারে লিপ্ত হয়ে পড়েন বলে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন কর্মচারীরা। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মচারী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিপুল লংমাইলাই বলেন গত ছয়মাস থেকে ২৮২ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ থাকায় অনেক কর্মচারী পরিবার চালাতে হিমশিম হয়ে পড়েছেন তারপর ও ভারপ্রাপ্ত অভিযন্তা পিনাকী শঙ্কর কর এসব কর্মচারীর বেতন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বই দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন বেশ কিছুদিন পিনাকী শঙ্কর কর হাফলঙে নেই। 

এমনকি তিনি কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও বেতন নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে কর্মচারীদের তিনি তার কার্যালয়ে ঢুকতে না দিয়ে দূর্ব্যবহারে জড়িয়ে পড়েন বলে বিপুল লংমাইলাই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন বুধ ও বৃহষ্পতিবার দুদিন তারা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কার্যালয়ে বেতনের দাবিতে ধরনা কার্যসূচি পালন করবে তারপর ও যদি ১০ ডিসেম্বরের মধ্য ওই ২৮২ জনের বেতন সমস্যা সমাধানে পিনাকী শঙ্কর কর কোনও পদক্ষেপ গ্রহন না করে তাহলে ১১ ডিসেম্বর থেকে অনিদৃষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে চলে যাবেন ২৮২ জন কর্মচারী বলে হুঁশিয়ার করে দেন সুবল লংমাইলাই। এদিকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের ২৮২ জন কর্মচারীর বেতন সমস্যা নিয়ে পিনাকী শঙ্কর করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বর্তমানে তিনি গুয়াহাটিতে রয়েছেন এবং ছয়মাস থেকে বন্ধ হয়ে পরা ২৮২ জন কর্মচারীর বেতন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন এবং শীঘ্রেই বেতন সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পিনাকী শঙ্কর কর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.