লরি থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ নাকচ বন বিভাগের, আদালতে যাওয়ার হুমকি
![]() |
| ছবি-সৌজন্য ইন্টারনেট। |
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : লরি থেকে তোলা আদায় নিয়ে বন বিভাগের বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।পাঁচগ্রাম ঠাণ্ডাপুর আদরকোণা বিট ফরেস্ট অফিসের কর্মীরা লরি থেকে কোন রকমের তোলা আদায় করেন না। এ নিয়ে সাংবাদিক ডেকে এনে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে একথা জানান আদরকোনা বিট অফিসার মনোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া৷ বদরপুরঘাট ফরেস্ট বিট অফিসে ও তোলা আদায় করা হয় না। কোন একটি চত্রু এই দুটি ফরেস্ট বিট অফিসের দূর্ণাম রটানোর জন্য সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসলে বন বিভাগের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সংশ্লিষ্ট মাল বাহী লরি গুলো বদরপুরঘাট ও আদরকোনা ফরেষ্ট বিট অফিসের সামনে লরি থামিয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করিয়ে সিল ও স্বাক্ষর নিয়ে যান। আর এটাই বিভাগীয় নিয়ম। রেঞ্জার অলক রঞ্জন দে, বিট অফিসার মনোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া জানান, তারা রুটিন তল্লাশি বা মোবাইল চেকিং চালিয়ে থাকেন তার প্রমান হচ্ছে, ইদানিং কালে বন বিভাগের অধিন মাল সামগ্রী জব্দ করে প্রায় দু লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকা রেভিনিউ জমা করেছেন। গত এক মাসে চারটি অবৈধ পাথর বোঝাই লরি জব্দ করে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার পাঁচশো টাকা। তার সাথে দুটি অবৈধ কাঠ বোঝাই লরি জব্দ করে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা রেভিনিউ সংগ্রহ করেছেন। রেঞ্জার অলক রঞ্জন দে, বিট অফিসার মনোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া বলেন, কাঠ বালু লাইমষ্টোন, পাথর বোঝাই লরি গুলোর নথিপত্র পরীক্ষা করে বৈধ হলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর অবৈধ প্রমান হলে তা জব্দ করে সরকারি নিয়মানুসারে জব্দ করে পরে অকসন দিয়ে রেভিনিউ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সঙ্গে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। তারা এ ও জানান, আজ পযর্ন্ত কোন লাইম স্টোন ব্যবসায়ী, এখানে কোন বন কর্মীর হাতে হেনস্থার শিকার হওয়ায় উদাহরণ ও নেই।
এছাড়াও বদরপুরঘাট বিট ফরেস্ট অফিসের বিট অফিসার পৃত্বীজিৎ দাস বলেন তিনি বদরপুর ঘাট বিট অফিসের দায়িত্ব বার গ্রহণ করার পর ট্রাক সহ মাটি, বালু, চোরাই কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছেন। কিছু দিন আগে কাটিগড়া বিধানসভা অন্তর্গত তেলিটিকরের নয়াটিলা থেকে ৪০০ সিএফটি চোরাই কাঠ বাজেয়াপ্ত করেন। এই চোরাই কাঠের বাজার মূল্য প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হবে। বদরপুর থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়।
তাঁরা বলেন বিট অফিস তার সরকারি নিয়ম মেনেই চলছে। কেউ অন্যায় ভাবে চলছেন না। কোন ব্যবসায়ী, লরি মালিক, চালক খালাসির প্রতি অন্যায় আচরন করার উদাহরণ ও নেই। কোন ব্যবসায়ী লরি মালিক চালক এমন অভিযোগ ও করেননি। আসলে কোন একটি চত্রু মিথ্যা অভিযোগ এনে বিট অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান না দিয়ে তারা সংশ্লিষ্ট মহল ও জনগনের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন এধরনের অপপ্রচার চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তারা আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবেন।









কোন মন্তব্য নেই