Header Ads

মিয়ানমারে রাসায়নিক অস্ত্ৰ মজুত রাখার আশঙ্কা প্ৰকাশ মাৰ্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰের

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ
মিয়ানমারের কাছে ১৯৮০’র দশকের রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ থাকার আশংকা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লিউ’র বার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
 
ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
প্ৰসঙ্গত, ২০১৫ সালে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে (সিডব্লিউসি) যোগ দিয়েছিল। সেই সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য ছিল ১৯৮০ সালে মিয়ানমার রাসায়নিক  অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি হাতে নেয়। সেখানে সালফার মাস্টার্ড গ্যাসও ছিল।

রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর পরিচালিত গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়ার দায়ের করা  মামলার শুনানিকে সামনে রেখে দেশটির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ অস্বস্তিতে ফেলবে দেশটিকে। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি তাঁর দেশের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যা মামলার মোকাবেলা করতে আগামী ডিসেম্বরে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারেন।

এরই মধ্যে এমন অভিযোগে ব্যাপক চাপে আছে দেশটির জান্তা সরকার। তবে পূর্বের মতো এবারো সে চাপ সামলে নিতে কৌশলী ভূমিকা নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে শুনানির আগেই বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে তাদের তৎপরতা আন্তর্জাতিক মহলকে দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে দেশটি। পাশাপাশি প্রত্যাবৰ্তন কার্যক্রমের ব্যর্থতার দায় বাংলাদেশের ওপর চাপাতে মিথ্যাচার করলে বাংলাদেশ থেকে এর প্রতিবাদ করা হয়।

২০০৫ সালে লন্ডন-ভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড অভিযোগ করেছিল যে সাবেক সামরিক জান্তারা কারেন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১৩ সালে একটি সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পুলিশ দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ফসফরাস গ্যাস ব্যবহার করেছিল।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমারের পাঁচজন সাংবাদিককে সামরিক বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করার প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.