Header Ads

জয়প্রকাশকে লাথি মেরেছিল তৃণমূল কর্মী তারিকুল শেখ ! হাবিবুর, কালামউদ্দিন সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিজেপির !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হবে আর দুর্বৃত্তদের উপদ্রব চলবে না, এমনটা আর ইদানীংকালে সম্ভব হচ্ছে না। করিমপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্ত বাহিনী মাঠে নেমে পড়ে। করিমপুরে কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতে পারে তার আভাস সকাল থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। একটু বেলা বাড়তেই উচ্ছৃঙ্খল বাহিনী উৎপাত শুরু করে দেয়। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর আক্রমণ শুরু করে গুন্ডা বাহিনী। তারিকুল শেখ, হাবিবুর রহমান শেখ, মাসাদুল আলম, কালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানো হয়।

আক্রমণের সময় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা শুধুমাত্র দর্শক হয়ে থেকে যায়। দুপুরে ঘিয়াঘাট ইসলামপুর বিদ্যালয়ে এসে বেশকিছু সন্দেহজনক ঘটনা চোখে পরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশের। বুথের মধ্যে এক পোলিং এজেন্টের কাছে দূটি ফোন, বুথ এর পাশের ঘরে ১১ জনকে রান্না করতেও দেখেন জয়প্রকাশ। আর এর প্রতিবাদ করা মাত্র পরিস্থিতি ঊত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গুন্ডা বাহিনী জয়প্রকাশকে মারধর করতে শুরু করে। কিল-চড়-ঘুঁষি-লাথি মেরে তাঁকে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়।
তারিকুল শেখ এসে সজোরে লাথি মেরে জয়প্রকাশকে জঙ্গলে ফেলে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ জন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। তবে ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে যারা দর্শক হয়ে ছিল, তারা কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে যথারীতি তৃণমূলের দাবি, ঘটনার পেছনে বিজেপির নিজস্ব ষড়যন্ত্র রয়েছে। মানুষের সহানুভূতি পেতে বিজেপি নিজেই এমন কাজ করেছে বলে দাবি তৃণমূলের !
করিমপুরে হার্মাদরা প্রচুর সংখ্যায় ছিল, তাই সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছিল। জয়প্রকাশকে মারধর করার পর বিজেপি নেতাদের গাড়ি আটক করে অবরোধ করার কাজেও নেমেছিল গুন্ডাবাহিনী বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে শেষপর্যন্ত সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালাতে বাধ্য হয় তারা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.