নতুন মসজিদের নাম ডঃ আবদুল কালাম অথবা আসফাকউল্লা খানের নামে হোক, চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
কয়েক দশক ধরে চলে আসা অযোধ্যা বিবাদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ৯ই নভেম্বর শনিবার চূড়ান্ত রায় দেয়। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্ট রামলালার হাতে বিতর্কিত জমি তুলে দিয়ে, ওই স্থানে আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করার আদেশ দেয়। এছাড়াও অযোধ্যার অন্য কোথাও মুসলিমদের মসজিদ বানানোর জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়ার আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-এর কর্মীরা সোমবার ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেন যে, তাঁরা মন্দিরের ট্রাস্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দেখতে চান।

পাশাপাশি VHP থেকে অনুরোধ করে বলা হয় যে, পাঁচ একর জমিতে নতুন করে হওয়ার মসজিদ যেন বাবরের নামে না হয়।
VHP এর মুখপাত্র শরদ শর্মা বলেন, ‘বাবর একজন বিদেশী আক্রমণকারী ছিল। আমরা সরকারের কাছে নতুন মসজিদের নাম বাবরের নামে রাখার যাতে অনুমতি না দেওয়া হয়, সেটা নিয়ে আবেদন করব।”
উনি বলেন, ভারতে অনেক ভালো মুসলিম আছেন। দেশের শান্তি আর উন্নয়নের জন্য ওঁরা অনেক কাজ করেছেন। শরদ শর্মা বলেন, বীর আবদুল হামিদ, আসফাকউল্লা খান, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা ভারত রত্ন এ পি জে আবদুল কালাম এর নামে নতুন মসজিদ গড়া হোক।
শরদ শর্মা রাম জন্মভূমি ন্যাসের কর্মশালার দেখভালের দ্বায়িত্বে আছেন। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যেখানে অমুল্য পাথর থাকে, সেই কর্মশালার দায়িত্ব তাঁর। আরেকদিকে মুসলিম আবেদনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, মসজিদের নাম কি রাখা হবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রাথমিক ইস্যু হল, মসজিদের জন্য দেওয়া পাঁচ একর জমি স্বীকার করা হবে, কি না হবে সেটা নিয়ে।