Header Ads

জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
মহারাষ্ট্র এবার রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দূরদর্শন নিউজের সুত্র অনুযায়ী, রাজ্যপাল ভগত সিং কোশয়ারি কেন্দ্র সরকারের কাছে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ পাঠিয়েছেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রিকস (BRICS) সন্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ব্রাজিলে রওনা দেওয়ার আগে ক্যাবিনেটের জরুরি বৈঠক ডাকেন। এই ক্যাবিনেট বৈঠক মহারাষ্ট্রে চলা রাজনৈতিক ঘটনাক্রমের জন্যই ডাকা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এরপর তিনি ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আরেকদিকে এর আগে শোনা যাচ্ছিল যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP) রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারিকে সমর্থন পত্র না দিতে পারলে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।


কিন্তু এখন খবর আসছে যে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। যদিও কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে কি নিয়ে চর্চা হয়েছে সেটা এখনো স্পষ্ট না। শোনা যাচ্ছে যে, ওই বৈঠকে ব্রিকস সন্মেলনে হওয়া চুক্তি নিয়ে চর্চা হয়েছে। গতকাল মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ দল শিবসেনাকে সরকার গড়ার ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। কিন্তু শিবসেনার বিধায়ক তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যার্থ হন।
এর পর রাজ্যপাল আজ রাত ৮ঃ৩০ পর্যন্ত শিবসেনা আর এনসিপিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সময় দিয়েছেন। কিন্তু এও শোনা যাচ্ছে যে, সময়ের আগেই রাজ্যপাল রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার সুপারিশ করে দিয়েছেন। অবশ্য রাজভবন থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। আরেকদিকে, আজ রাত ৮ঃ৩০ পর্যন্ত সময় থাকলেও এনসিপি আর শিবসেনার কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা একটু চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আর তার প্রধান কারণ হল, হর্স ট্রেডিং এর ভয় এনসিপির বিধায়কেরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। আরেকদিকে কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক জয়পুরে সেফ হাউসে আছেন। রাত ৮ঃ৩০ এর মধ্যে সমস্ত বিধায়কের স্বাক্ষর সমেত সমর্থন পত্র রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া তাঁদের পক্ষে এখন অনেকটাই চাপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন--মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে হবে এনসিপি’র কোনও সদস্যকেই। এতে সরকার গঠনের সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.