Header Ads

এনআরসি দিয়ে বিজেপির আসাম সহ উত্তর পূর্ব ভারতে উত্থান, আর এনআরসি থেকেই কি বিজেপির পতন হবে?

আরনি সেন, কলকাতাঃ

 সাধারণ মানুষকে চূড়ান্ত হয়রানি করে, কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে আসামে এনআরসি-র প্রথম বলি ২০ লক্ষাধিক বাঙালি যার ১৬ লক্ষ গরিব প্রধানত নিম্ন বর্ণের হিন্দু বাঙালি ও ৬ লক্ষ গরিব বাঙালি মুসলমান। এছাড়াও নেপালি এবং হাজং, ডালু, কোচ, বোনাই, গারো প্রভৃতি জনজাতিও রয়েছে। এছাড়াও সাঁওতাল এবং চা জনজাতিরাও আশঙ্কার মুখে। রাজ্যজুড়ে গভীর অসন্তোষ রয়েছে। কৃষক নেতা অখিল গগৈ, আসু সমেত সহ ৩১ টি সংগঠন ধারাবাহিকভাবে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে।

 উত্তর পূর্বের বিজেপির প্রধান ম্যানেজার মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মাকে তাই অন্য সুরে কথা বলতে হচ্ছে। নাগা চুক্তি পিছতে হচ্ছে। এনআরসি নিয়ে বিভাজনের এবং আর্থিক মন্দা ও কর্মসংস্থানের আকালে গরু সোনা রাজনীতি বিজেপিকে উদ্বাস্তু রাজবংশী ও নমশুদ্র এবং মুসলমান অধ্যুষিত কালিয়াগঞ্জ, মুসলমান ও উদ্বাস্তু নমশুদ্র অধ্যুষিত করিমপুর আর মিশ্র জন সংখ্যার খড়গপুর উপনির্বাচনে ধরাশায়ী করেছে। আবার প্রমাণ হল পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান শক্তি। সিপিএম ও কংগ্রেস জোট অপ্রাসঙ্গিক রয়েই গেলো।

 কংগ্রেস সিপিএম রা যা শুরু করেছিল সেই সমৃদ্ধশীল দেশকে বিদেশী কর্পোরেট ও দেশী পরিবারকেন্দ্রিক শিল্পপতিদের কাছে সম্পূর্ণ বিক্রি ও দেশবাসীদের কপৰ্দকশূন্য করে দেওয়া, দেশের বৈচিত্র্য ও গনতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া ফ্যাসিস্ট মোদী - অমিত শাহদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বাড়ছে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা থেকে নৰ্মদা পাড়ের গ্রামগুলি, শ্ৰীনগরের গলি থেকে জেএনইউ -এর ক্যাম্পাস তার টাটকা উদাহরণ। এই প্রতিরোধ আগামীদিনে আরও বাড়বে। একজোট হতে হবে সব দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী ও প্রগতিশীল শক্তিদের।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.