Header Ads

কংগ্রেস জেহাদীদের জেলথেকে ছেড়ে দিয়েছিল ঃ চন্দ্রমােহন পাটোয়ারি




অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি |
বিধানসভায় জিরাে আওয়ারে অগপর পবিন্দ্ৰ ডেকা ও প্রদীপ হাজরিকার নােটিশের জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারী রাজ্যে জেহাদী কার্যকলাপের জন্য কংগ্রেস দলকে পুরােপুরি দায়ী করে বলেন, ১৯৯০১৯৯১ সালে আমিই প্রথম রাজ্যে আইএসআই জেহাদীদের কথা উত্থাপন করেছিলাম। প্রফুল্লকুমার মহন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনজন আইএসআই জেহাদীকে ধরা হয়। কিন্তু কংগ্রেস সরকার ২০০১ সালে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। তারা জেহাদী কার্যকলাপের কথা স্বীকার করে বলেছিল, তারা বাংলাদেশ থেকে এই রাজ্যে প্রবেশ করেছিল। তাদের মধ্যে একজন অন্ধ ছিল। জেহাদীদের মদত দিয়ে কংগ্রেস অসমকে ধ্বংস করেছে। বিধানসভা লিখিতভাবে জানান, ২৪ নভেম্বর দিল্লি পুলিশের উপপরিদর্শক অমিত কুমার গােয়ালপাড়া থানায় লিখিতভাবে এজাহার দাখিল করে জানায়, বিভিন্ন সােসাল মিডিয়ায় ছ'মাস ধরে নিরীক্ষণ করে থাকার সময় তারা অসমে মৌলবাদী ভাবধারায় প্রভাবিত একটি অনলাইন সংস্থার একাংশ যুবকের অসম ও দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটনার পরিকল্পনার কথা জানতে পারে। তারা জানতে পারে, আইএসআইএস এবং মৌলবাদীদের প্রতি অনুগত্য থাকা তিন-চারজনের একটি গ্রুপ অযােধ্যায় রায়দানের পরেই শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পরিকল্পনা করা হয়। জানতে পারা যায়, ওই দলটি কয়েকটি আইইডি সংগ্রহ করে কিছুদিনের মধ্যেই অসমের গােয়ালপাড়ার দুদনৈর রাস মেলায় বিস্ফোরণ ঘটানাের পরিকল্পনা করেছিল। গােপনসূত্রে খবর পেয়ে দিল্লির পুলিশের একটি দল অসমে আসে। খবর পায় গােয়ালপাড়া জেলার মধুবন লজের প্রাঙ্গণে ওই জেহাদীরা মিলিত হবে। পুলিশের দল সেই গােপন সূত্রে খবর জেনে তিনজনকে করায়ত্ত করে। রঞ্জিত ইসলাম (২৪ বছর), বাবা আলবুদ্দিন শেখ, গ্রাম নয়াপাড়া, থানা কৃষাই গােয়ালপাড়া। তার কাছ থেকে বেটারি সংযুক্ত না করা একটি আইইডি এবং ২৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের এক ছুরি উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় যুবক মুকাদ্দির ইসলাম (২১ বছর), বাবা জবিউল ইসলাম, গ্রাম সর্দারপাড়া, থানা কৃষাই, গােয়ালপাড়া। তার কাছ থেকে লােহার তরে তরােয়াল, হাই ওয়াটের দুই বেটারির ও আইইডি তৈরির হাতে লেখা এক বিবরণ পত্র পাওয়া যায়। তৃতীয় যুবক লুইত জামেল জামান (2৪ বছর) বাবা মেহবুব আলি, গ্রাম সর্দারপাড়া, থানা কৃষাই গােয়ালপাড়া। তার কাছ থেকে একটি লােহার তরােয়াল পাওয়া যায়। সংসদীয় মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক জানা গেছে, আইইডি সম্পূর্ণ ছিল দুধনৈ রাস মেলায় বিস্ফোরণ ঘটানাের পরিকল্পনা ছিল। দিল্লিতেও সেই ধরনের বিস্ফোরণের পরিকল্পনা জানিয়েছিল ধৃত যুবকরা। কৃষ্ণাইয়ের রঞ্জিত ইসলাম এবং লুইত জামেল জামান এই বিস্ফোরক যােগাড় করে ঘরে রেখেছিল। রঞ্জিত ইসলামের বাড়িতে তালাশি করে পুলিশ একটি প্লাষ্টিকের পাত্রে ৬৫৫ গ্রাম বিস্ফোরক, একটি প্লাষ্টিকের থলেতে ১৭০ গ্রাম বিস্ফোরণের কিছু অংশ, একটি প্লাষ্টিক পাত্রে প্রায় ৪০ গ্রাম বিস্ফোরক এবং একটি প্লাষ্টিকের পাত্রে প্রায় ১৪৫ গ্রাম বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার করে। লুইত জামেল জামানের ঘর থেকে দুটি লােহার এলবাে, দুটি এলাম ঘরি, তার, এক কিলােগ্রাম লােহার গজাল, এলইডি লাইট, মার্বেল এবং হাতুরি সহ দুটি ইস্কুড্রাইভার উদ্ধার করা হয়। এই অভিযােগ অনুযায়ী গােয়ালপাড়া থানায় বেআইনি অস্ত্র এবং অন্যান্য ধারায় অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন জানা গেছে, রঞ্জিত আলি বিভিন্ন সন্ধেহজনক ব্যক্তির সঙ্গে যােগাযােগ করে হােয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক টেলিগ্রাম যােগে বােমা বানানাের জ্ঞান আহরণ করেছিল। গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের সঙ্গে বাংলাদেশে থাকা আইএসআইএস ও অন্যান্য কোন মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তিকে ১২ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.