Header Ads

অসম বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই নাগরিকত্ব বিল বাতিলের দাবিতে কংগ্রেস, এআইইউডিএফ বিধানসভা উত্তাল করে





অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি

অসম বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব বিল বাতিলের দাবিতে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ বিধানসভা উত্তাল করে তােলে, বিধানসভার অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত দলদুটি ওয়াকআউট করে, শুধু তা করেই ক্ষান্ত থাকেনি, বিধানসভার প্রবেশ পথে মেঝেতে শুয়ে কংগ্রেসের সদস্যরা অভূতপূর্ব প্রতিবাদে শামিল হন।

 বিধানসভার শুরুতেই নবনির্বাচিত চার বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ হীতেন্দ্রনাথ গােস্বামী। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনােয়াল, অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা প্রমুখদের উপস্থিতিতে জনিয়া কেন্দ্রে এআইইউডিএফের হাফিজ রফিকুল ইসলাম, রাতাবাড়ি বিজেপির বিজয় মালাকার, সােনাইয়ের বিজেপির নবনিতা সন্দিকৈ এবং রাঙাপাড়া বিজেপির রাজেন বরঠাকুর শপথগ্রহণ করেন। তারপর বিধানসভায় প্রশ্নোত্তরপর্ব শুরু হতেই কংগ্রেসের অজন্তা নেওগ, রূপজ্যোতি কুৰ্মী, দুর্গা ভূমিজ, ওয়াজেদ আলি চৌধুরী, এআইইউডিএফের আমিনুল ইসলাম, হাফিজ বসির আহমেদ প্রমুখ ক্যাব বাতিলের দাবি সম্বলিত হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। এই ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করে আলােচনার দাবি জানাতে থাকে। 

তারা হুলস্থূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ওয়েলের কাজে ছুটে যান। অধ্যক্ষ হীতেন্দ্রনাথ গােস্বামী বার বার শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, পরে আলােচনার সুযােগ দেওয়া যেতে পারে। তাতে এই দুটি দল কর্ণপাত না করে ওয়াকআউট করে বাইরের প্রবেশ পথেও অবরােধ সৃষ্টি করে শুয়ে পরে প্রতিবাদে সাব্যস্ত হন। অধ্যক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধানসভায় বলেন, যেখানে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে আলােচনার সুযােগ দেওয়া হবে, তার পরেও বিরােধীদের ওয়াকআউট শােভা পায় না। 

বিধানসভার নিয়মাবলীতে আছে, অধিবেশনের শুরুতেই মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করা যায় না। সেই নিয়ম কংগ্রেসের জানা উচিত ছিল। এই প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমােহন পাটোয়ারী কংগ্রেসের ওয়াকআউটের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্য করে বলেন, ‘জয় অসম বলার অধিকার কংগ্রেসের নেই। ৮৫৫ জন শহিদের আত্মত্যাগের কথা বলার অধিকারও কংগ্রেসের নেই। তারা যা মন চায় তাইকরে। শুয়ে পরার ইচ্ছা হয়েছে শুয়ে পড়েছে। কংগ্রেস অসমকে ধ্বংস করেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.