Header Ads

নির্বাচন এলেই পশ্চিমবঙ্গে কেন সক্রিয় হয়ে ওঠে লুঙ্গী বাহিনী--প্রশ্ন উঠছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

পশ্চিমবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনীর উৎপাত নিয়ে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ভারতে নির্বাচন পক্রিয়া একটা সাধারণ ঘটনা। বিশাল দেশ হওয়ায় কোনো না কোনো প্রান্তে নির্বাচন লেগেই থাকে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগও চলে। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শান্তি বজায় রেখেই চলবে, এমনটাই আশা করে জনগণ। কিন্তু একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের প্রত্যেক প্রান্তে নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্নভাবেই ঘটছে ইদানীং--এমন কী বিহারেও ! পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র রাজ্য যেখানে ৩৪ বছরের বাম আমলের নির্বাচনী সন্ত্রাসের রেশ কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বরং বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এখন পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। মমতা ব্যানার্জী পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু হিংসার রাজনীতির পরিবর্তন যে হয়নি তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নির্বাচন সামনে এলেই পশ্চিমবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনী সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে লাগাতার অভিযোগ উঠছেই !


সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লুঙ্গি বাহিনীর দাপটকে অতিরিক্ত মুসলিম তোষণের বিষক্রিয়া বলেছেন, কেউ কেউ জেহাদ বলেও অভিহিত করেছেন। আবার অনেকে বলেছেন লুঙ্গি বাহিনীর বেশিরভােই অবৈধ বাংলাদেশি। লোকসভা নির্বাচন হোক বিধানসভা নির্বাচন হোক বা উপনির্বাচন হোক, সব ক্ষেত্রেই লুঙ্গিবাহিনী মাঠে নেমে পড়ছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় লুঙ্গি বাহিনীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানোর খবর এসেছিল। কিছু কিছু জায়গায় লোকসভা ভোটের আগে মাকিং করে পুরো গ্রামকে হিন্দু শূন্য করে দেওয়া হয়েছিল বলেও শেনা গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যাতে প্রাণহানি আটকনো যায় তার জন্য যথেষ্ট প্রয়াস ছিল নির্বাচন কমিশনের। তবু কাজ হয়নি, লুঙ্গিবাহিনীর উপদ্রবে বেশ কিছু এলাকায় রক্ত ঝরেছিল।
২০২১ এ বিধাসভা নির্বাচন, আর সেই সময় লুঙ্গি বাহিনী যে সক্রিয় থেকে ভোট প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ নেই। তার আগে খড়গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জ এই তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনেই লুঙ্গি বাহিনী তাদের আগাম ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে আতঙ্কিত ভোটারদের অনেকেই। করিমপুরে লুঙ্গি বাহিনীর সংখ্যা বেশি, সেখান তারা বেশ ভালো রকম ট্রেলার দেখিয়েছে। করিমপুরে লুঙ্গী বাহিনী বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর আক্রমণ করে। তারিকুল শেখ নামের এক কট্টরপন্থী লাথি মেরে জয়প্রকাশকে জঙ্গলে ছিটকে ফেলে দেয়।
 বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী তারিকুল শেখ ছাড়াও, হাবিবুর রহমান শেখ, মাসাদুল আলম, কালাউদ্দিনের মতো ৯ জনের লুঙ্গি বাহিনী তাঁকে চড়, কিল ও লাথি মারে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই লুঙ্গি বাহিনী এই আক্রমণ চালায়।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজ্য পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল না। পশ্চিমবঙ্গে যা ঘটে সেটা অন্য রাজ্যে হয় না তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারে নি !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.