Header Ads

লাথিটা কার ! মন্তব্যে জয়প্রকাশকে নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন ডঃ পার্থ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

করিমপুরে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল মহাসচিব ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লাথিটা কার দেখতে হবে। সেটা বিজেপির না, সাধারণ জনগণের ! পাশাপাশি বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে তাঁর মন্তব্য, ওরা তো ভোট দিতেই জানে না।


সোমবার করিমপুরের পিপুলখোলার ঘিয়াঘাট ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে যেতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। আর গাড়ি থেকে নামতেই চলে কিল, চড়, ঘুষি। একজন তো সজোরে এক লাথি মারে জয়প্রকাশ মজুমদারকে লক্ষ্য করে। রাস্তার ধারে ঝোপের মধ্যে ছিটকে পড়ে যান জয়প্রকাশ মজুমদার। কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তাঁকে উদ্ধার করার পর জয়প্রকাশ মজুমদার অভিযোগ করেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে।


বিষয়টি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি সেখানে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত করেন। বলেন, লাথিটা কার দেখতে হবে। সেটা বিজেপির না জনগণের। এই কথার মাধ্যমে ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় হামলাকারীদেরই সমর্থন করছেন কিনা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনীতিতে বিরোধী নেতানেত্রীদের শারীরিক নিগ্রহ সমর্থন পাবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সোমবার সকালে নির্দিষ্ট বুথে ভোট দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ভারতী সরকার। স্ত্রীকে পাশে রেখেই ইভিএমের বোতাম টেপেন তিনি। এরপর স্ত্রীর ভোট দেওয়ার সময় প্রার্থীকে দেখিয়ে দিতে দেখায়
যায়। সেই ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, তিনি কোনও বিধিভঙ্গ করেননি। তিনি আরও দাবি করেন, বরাবর তিনি স্ত্রীকে নিয়েই ভোট দিয়ে থাকেন। কোনও সময়ই বাধা আাসেনি। এই প্রসঙ্গে ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওরা তো ভোট দিতেই জানে না।
সোমবার জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপর হামলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে শাসকদল। এই প্রসঙ্গে ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুকুল রায়কে ফের কাচড়াবাবু বলে কটাক্ষ করেন। তিনি পাল্টা বলেন, বিজেপি জেনে গিয়েছে তারা হারবে !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.