Header Ads

গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত 'বুলবুল'




বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়


ক্রমেই বাড়াছে শক্তি! গভীর নিম্নচাপ 
থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত 'বুলবুল' !!
ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে বুলবুল। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার 
সময় গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সেই 
সময় বুলবুলের অবস্থান ছিল কলকাতা থেকে ৯৩০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে। যা ক্রমেই অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলেই 
মনে করছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে 
এগিয়ে তা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসতে চলেছে।
যেভাবে বুলবুল এগোচ্ছে যদি সেইভাবেই এগোয় তাহলে বৃষ্টির তীব্রতা আর ঝোড়ো বাতাসের গতি দুই-ই বাড়বে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকেই উপকূল অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
বুলবুল এগোচ্ছে ঘন্টায় ৬ কিমি বেগে। যদি বেগ একইভাবে বজায় থাকে, তাহলে তা সোমবার নাগাদ বাংলার দোড়গোড়ায় চলে আসবে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শনিবার থেকে সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের দু-একটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি( ৭-১১ সেমি) হতে পারে। এইসব জায়গায় হলুদ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে অন্য জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
আপাতত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতি বেশ শ্লথ। তবে তা সমুদ্র থেকে শক্তি বাড়াচ্ছে। বুলবুল নামটি পাকিস্তানের দেওয়া। ঘন্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ৭ নভেম্বর নাগাদ এই ঝড়ের বেগ পৌঁছে যেতে পারে ঘন্টায় ৯০ কিমিতে। আর ৯ নভেম্বর তা পৌঁছতে পারে ঘন্টায় ১২০ কিমিতে।
ফলে যাঁরা ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের ৭ নভেম্বর বিকেলের মধ্যে উপকূলে ফেরত আসতে বলা হয়েছে। এছাড়াই ৮ নভেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা যাতে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে না যান সেব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। তাদের জন্য দেওয়া হয়েছে লাল সতর্কতা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.