Header Ads

অযোধ্যায় রামমন্দির শুধু খোদাই পাথরের, কত সময় লাগবে জানালেন বিশেষজ্ঞরা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : কেমন হবে প্রস্তাবিত রাম মন্দির? বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত নকশা নিয়ে এখনই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী মন্দির নির্মাণ করতে আনুমানিক পাঁচ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত তিন দশক ধরে মন্দিরের কাঠামো নির্মাণ চলছে। তারপরও মন্দিরের কাজ শেষ করতে এই বিপুল সময় লেগে যাবে।
লক্ষ লক্ষ পাথর কেটে তার উপর খোদাই করার কাজ চলছে অযোধ্যার ওয়ার্কশপে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেই নকশা ও নির্মাণশৈলী মেনে কাজ হবে, নাকি অন্য কোনও নকশা তৈরি হবে, তা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে রাম জন্মভূমি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সেই কাজ তিন দশক ধরেই হয়ে চলেছে। কাজ শুরু হলেও তা শেষ করতে এখনও পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে। 
রাম মন্দির নিম্রাণের জন্য প্রথম পাথর এসেছিল রাজস্থানের ভরতপুর থেকে। ১৯৮৯ সালে সেই কাজ শুরু হয়েছিল। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরও প্রস্তুতির কাজে ছেদ পড়েনি। কর্মশালাতে সমানে পাথর খোদাইয়ের কাজ করা চলছে। রায়দানের আগে কিছুদিনের জন্য কর্মশালার কাজ বন্ধ ছিল। 
নতুন রামমন্দির যে নকশা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, তাতে মন্দিরজুড়ে মোট ২১২টি স্তম্ভ থাকবে। দুটি পর্যায়ে ১০৬টি করে স্তম্ভ থাকবে। এর প্রায় অর্ধেক পিলার প্রস্তুত রয়েছে এবং অর্ধেক খোদাই করার কাজ এখনও বাকি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অনুমোদিত নকশা অনুসারে, ছাদের উপরে একটি 'শিখর' থাকবে, যা এই পরিকাঠামোকে গ্র্যান্ড রাম মন্দিরের চেহারা দেবে। 
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রস্তাবিত কাঠামোটি ১২৮ ফুট উঁচু হবে। এটি প্রস্থে ১৪০ ফুট এবং দৈর্ঘ্যে ২৭০ ফুট হবে। এই বিশাল কাঠামোটিকে অনন্য করে তুলতে কোনও ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই প্রস্তাবিত রামমন্দিরে ৫টি প্রবেশ পথ থাকবে। সিংহ দ্বার, নৃত্য মণ্ডপ, র্যা ন্ড মণ্ডপ, পূজা ঘর এবং 'গর্ভ গৃহ'। রামলালার মূর্তিটি ওই গর্ভগৃহে রাখা হবে। মন্দিরটির সম্পূর্ণ নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১.৭৫ লক্ষ ঘনফুট বেলেপাথরের প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.