Header Ads

তৃণমূল প্রচারের ঘূঁটি সাজাচ্ছে পিকে-মন্ত্রেই ! উপনির্বাচনে পরীক্ষা, প্রয়োগ একুশে

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : উপনির্বাচনেই তৃণমূল বুঝতে চাইছে হাওয়া। ২০২১ কিংবা তার আগে ২০২০-র পুরসভা ভোট জিততে এই উপনির্বাচনেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। আর প্রতিটি পদক্ষেপই ফেলা হচ্ছে মেপে। ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের কৌশল মেনেই সব কাজ হচ্ছে। যেমন প্রার্থী বাছাই হয়েছে পিকে-ফর্মুলায়, তেমনই পিকে-মন্ত্রেই নির্বাচনী প্রচার চালাবে তৃণমূল।
পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর শুধু তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়েই মুখ্য ভূমিকা নেননি, প্রচারের কৌশল নির্ধারণও করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম। খড়গপুরকে এই মর্মে মূল টার্গেট করেই এগোচ্ছে তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জ-করিমপুরেও প্রচারের পরিকল্পনা ছকে দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের জেলা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে টিম পিকে। তাঁরা প্রতি পদক্ষেপে তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ দেবেন। কোথায় প্রচারে কোন ইস্যু তুলে ধরা হবে, মোট কথা পেশাদারি দক্ষতা কাজে লাগিয়েই এবার বাজিমাত করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। প্রার্থীরাও বলছেন, আমরা শুরু করে দিয়েছি, পরামর্শ এলেই আমরা তা গ্রহণ করব।
টিম পিকে বাতলে দেবে, কীভাবে প্রচারে ঝড় তুলতে হবে। কোন বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলতে হবে। কোন বিষয়ে কথা বলতে হবে, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। কীভাবে মতামতকে নিজেদের দিকে ঘোরানো যায়, তাও জানাবে পিকের টিম। খড়গপুরকে টার্গেট করে ইতিমধ্যেই জনা ৪০ কর্মী ঘাঁটি গেড়েছে এলাকায়।
খড়গপুরে পিকের টি্ম ঘাঁটি গেড়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ীই নীতি নির্ধারণ করা হবে। প্রচার কৌশল স্থির হবে। তা প্রয়োগের চেষ্টাও হবে। তার ফলে কতখানি সুফল মিলল তা জানা যাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই। ২৮ নভেম্বরই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কতখানি ফলপ্রসূ হল পিকে-র টোটকা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.