বিহারের জামালপুরের সমাজ সচেতন মহিলা আরুনী সেন চলে গেলেন
নয়া ঠাহর প্রতিবেদনঃ
আমাদের সবার প্রিয় দিদি চলে গেলেন। আজ ১৫ নভেম্বরে বিকাল ৪.৩০ মিনিট নাগাদ, বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুর এর রামপুর রেলওয়ে কলোনির ৩১৯ / এ বি নম্বর কোয়ার্টারে প্রায় পাঁচ দশক ধরে বসবাস করছিলেন জামালপুর রেলওয়ে কারখানার অবসরপ্রাপ্ত অফিস সুপার অরুনী সেন, প্রায় ৮৩ বছর বয়সে সজ্ঞানে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তার পাশে ছিলেন ভাই অশোক গুপ্ত , এক মাত্র পুত্র বিশ্বরূপ সেন, পুত্র বধূ সুতপা প্রমুখ। এই কোয়ার্টার থেকে রেলওয়ে অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আরুনী সেনের স্বামী বিশ্বনাথ সেন। পুত্রও রেলওয়েতে চাকরি করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের আদি বাসিন্দা জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক রমা নাথ গুপ্তর কন্যা আরুনী সেন মুর্শিদাবাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েছিলেন নাচে গানে পারদর্শীও ছিলেন, সরকারি অফিসে চাকরিও করতেন
জামালপুর রেলওয়ে কোয়ার্টার এর পাশে থাকতেন প্রভাত রঞ্জন সরকার, আনন্দ মার্গের প্রধান সরকার এক ই কারখানা তে কয়েক বছর চাকরি করে ছিলেন। আমাদের দিদি অর্থাৎ নয়া ঠাহরের সম্পাদক অমল গুপ্ত র দিদি প্রভাত রঞ্জন সরকারের মহান জীবনের বহু কথা জানতেন। আমাদের মা কল্যাণী গুপ্তর মতো রাজনীতি , সমাজনীতি, সংস্কৃতিক জগতের সব খবর রাখতেন আরুনী সেন। বইপত্র, খবরের কাগজ ছাড়া চলতো না। সবসময় উপদেশ দিতেন, মহান ঈশ্বরের কাছে নিজের জন্যে প্রার্থনা করবে না। মানুষের কল্যানে, জগতের কল্যানে প্রাথনা করবে। গুয়াহাটি শহর থেকে প্রকাশিত বাংলা নিউজ পোর্টাল নয়া ঠাহরের পক্ষ থেকে আরুনী সেনের মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে, এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।তার মৃত্যুতে জামালপুর রেলওয়ে কলোনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারের মুঙ্গেরের গঙ্গা নদীতে আরুনী সেনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই