Header Ads

সিন্ডিকেট বন্ধের দাবিতে সরব লরি মালিকরা

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, বদরপুর : সরকার কয়লা সিন্ডিকেট বন্ধে কড়া পদক্ষেপ না নিলে প্রতিবাদে পথে নামবেন লরি মালিকেরা। ফাইন্যান্স-এ সমঝে দেবেন নিজেদের লরি। রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে এই বার্তা দিলেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অল বদরপুর ট্রাক ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের কর্মকর্তারা। বিজেপি সরকার কেন্দ্রে-রাজ্যে দুর্নীতির তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জিগির তুলে ক্ষমতায় এলেও বাস্তবে এরাই দুর্নীতি চূড়ান্ত সীমা পেরিয়ে গেছে। সর্বস্তরে সিন্ডিকেট রাজ কায়েম করে  অবাধ লুটতরাজ চালাচ্ছে। সব চেয়ে বেশি থাবা পড়েছে কয়লার উপর। দিগরখাল থেকে বদরপুর হয়ে বহির্রাজ্যে যেতে প্রায় লক্ষ টাকা দুই ধাপে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে। এতে লরি মালিকদের লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। অবস্থা যা দাড়িয়েছে তাতে ব্যাংক ফ্যাইনান্সের কিস্তি দেওয়া অসম্ভব। কংগ্রেসের আমলেও সিন্ডিকেট ছিল। কিন্তু তা ছিল বর্তমানের তুলনায় যৎসামান্য। তখন সামলে নেওয়া গেছে। কিন্তু এখন অস্বাভাবিক অবস্থা।
আর সিন্ডকেটের দৌলতে কয়লার দাম বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইট বালি পাথর সহ ঘর তৈরির যাবতীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছোঁয়া। কয়লার অভাবে অতীতে কাগজ কলের উপর যেমন প্রভাব পড়েছিল এর দাম বাড়াতে সিমেন্ট বা ইট শিল্পের উপর এবার সরাসরি প্রভাব পড়েছে। ইটের দর তো আগের চেয়ে পুরো দ্বিগুণ হয়ে গেছে। প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর যারা পেয়েছেন বা পাবেন সেই হিতাধীকারীরা ঘর  বাবদ যে অর্থ মঞ্জুর হয় সেই টাকায় ঘর তৈরি সম্ভব কী না সে খবর নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ? প্রশ্ন তুলেছেন লরি মালিকেরা।  কয়লার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় এই টাকায় ঘর তৈরি এক কথায় অসম্ভব।মন্তব্য তাদের। লরি মালিক সংস্থার সভাপতি ফৈজুল হক সহ সভাপতি আবদুল বাসিত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম সাহাব উদ্দিন প্রমুক।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.