Header Ads

মিশন ২০২০-র মুখ খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি ! শোভন-সব্যসাচীকে দলে নিয়েও ক্রাইসিস তীব্র !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রভূত সাফল্যের পর ২০২১-কে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। মমতার সরকারকে রাজ্য থেকে উৎখাত করাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় ২০১৯ ও ২০২১-এর মধ্যে আরও একটি বড় নির্বাচন আছে। সেই মিনি মহাকরণ দখলের লড়াইয়ে বিজেপি এখনও পর্যন্ত কোনও জমি পাচ্ছে না।


২০২০ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে কে হবেন বিজেপির মুখ--এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। ২০২০-তে অপারেশন কলকাতার জন্য নেতার অভাব প্রকট। সাম্প্রতিক অতীতে দু-দুজন মেয়রকে তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই দুজনকে সেভাবে প্রচারের আলোয় দেখা যায়নি এখনও। শোভন করছেন পালাই পালাই--মুকুল রায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বড় মাপের যে নেতাকে ভাঙিয়ে আনতে সফল হয়েছে বিজেপি, তিনি হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার মেয়র আবার ডাকসাইটে মন্ত্রী ছিলেন তৃণমূল সরকারের। কিন্তু সেই তিনি বিজেপিতে একেবারেই নিষ্ক্রিয়। বরং তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই পালাই পালাই করছেন। যে কোনও দিন তিনি তৃণমূলে্ ঘরওয়াপসি করতে পারেন !
তারপর দীর্ঘ টালবাহানার পর বিজেপি দলে টেনেছে তৃণমূলের আর এক মেয়র তথা বিধানগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তকে। কিন্তু তিনিও যেন মেঘের আড়ালে চলে গিয়েছেন। কাউকেই দেখা যাচ্ছে না ময়দানে। যদিও তাঁর এখনই তৃণমূলের ফেরার মতো কোনও সম্ভাবনা তৈরি না হলেও তিনি যে বিজেপিতে ফ্রন্টফুটে থেকে রাজনীতি করছেন বলা যাচ্ছে না। আসলে বিজেপি’র কিছু নেতা এইসব নেতাদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের সাহস পাচ্ছেন না নিজেদের গুরুত্ব হারানোর ভয়ে। তাঁরা এদের প্রচারে পোস্টারে দেখিয়ে কিছু ভোট বাড়ানোর রাজনীতিই করতে চাইছেন।
ফলে এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভা ভোটের জন্য বিজেপি মুখ খুঁজতে শুরু করেছে। আপাতত স্থির য়েছে আগামী চারমাস তারা কলকাতা পুরসভা ভোটকে পাখির চোখ করবে। নবান্ন দখলের আগে কলকাতার ছোট লালবাড়িতে পা রাখতে বিজেপি পরিকল্পনা করেই এগোবে। কিন্তু নেতার অভাবে নরেন্দ্র মোদীকে মুখ করে কলকাতা পুরসভায় লড়তে চাওয়া বিজেপিকে পিছিয়ে দেবেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
বিজেপির মন্ত্র একটাই--মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। সেই মন্ত্রেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মুখ করে নির্বাচন লড়তে চাইছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে কলকাতা পুরসভার প্রচারেও আনার ভাবনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আর এই লক্ষ্যপূরণে কোনও মেয়র পদপ্রার্থীও করতে নারাজ তারা। কলকাতা পুরসভা ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০০টি ওয়ার্ড তাদের টার্গেট। ইতিমধ্যে ৭০ ওয়ার্ডে সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে বিজেপি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.