Header Ads

ধরাশায়ী বিজেপি, মুকুল গোল দেবেন বলে তিনটে খেয়ে গেলেন, উপনির্বাচনে মিলল না একটাও কথা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

বাংলা রাজনীতিতে তাঁকে অনেকেই চাণক্য বলে আখ্যা দিয়েছেন। তৃণমূলের একসময়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর থেকে কলেবরে অনেকটা বেড়েছে বিজেপি। গত বিধানসভা ভোটে যেখানে হাতেগোনা কয়েকজন বিধায়ক ও মাত্র দুজন সাংসদ ছিলেন বিজেপিতে, দুর্বল সেই সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলেছেন মুকুল রায় এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। তবে এই উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মুকুল রায় যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তা একেবারেই মিথ্যা হয়ে গেল।


উপনির্বাচনের ভোটাভুটির পর মুকুল রায় ফলাফল কেমন হবে সেই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, কালিয়াগঞ্জে ৩০ হাজার ভোটে জিতবে বিজেপি। করিমপুর সেই ব্যবধান হবে ৮ থেকে ১০ হাজার। আর খড়গপুরে ২০ হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতবে গেরুয়া শিবির। সম্ভাব্য জয়ের এই ছবি তিনি অমিত শাহকেও দেখিয়েছেন !
তবে ফলাফল বের হতেই দেখা গেল অন্য চিত্র। করিমপুর ও খড়্গপুরে বিজেপিকে কুড়ি হাজারের বেশি মার্জিনে পরাজিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একেবারে পিছন থেকে উঠে এসে খড়গপুর ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। করিমপুর আসনে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জে যেখানে লোকসভা ভোটের নিরিখে ৫৭ হাজারের বেশি ব্যবধানে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল, সেখানে সেই শূন্যস্থান পূরণ করে ২৩০০-র বেশি ভোটে ঘাসফুল প্রার্থী জয়লাভ করেছে।
লোকসভা ভোটের সময় মুকুল রায় যে দাবি করেছিলেন বিজেপি তার কাছাকাছি আসন পেয়েছিল। মুকুল রায় দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি অর্ধেকের বেশি আসনে জয়লাভ করবে। অর্ধেক না পেলেও বিরাট ব্যবধানে জয় পায়। বিজেপি এরাজ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে। তবে তখন হিসেব মেলাতে পারলেও এবার তা পুরোপুরি উল্টে গেল। তৃণমূল একেবারে মাটি কামড়ে জয় ছিনিয়ে নিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.