Header Ads

রাজ্যপাল ভুলে গিয়েছেন- এটা কাশ্মীর নয়, বাংলা ! তীব্র কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

মমতা রাজ্যপালের কাশ্মীর-মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। মমতা বলেন, রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলেছিলেন কাশ্মীর নিয়ে। আমাদের গভর্নর খুব ভাল কথা বলেছেন, তবে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে এটি কাশ্মীর নয়, এটি বাংলা। তিনি কাশ্মীর সম্পর্কে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলে ফেলেছেন।

মমতা বলেন, দেশে এখনও অনেক সাহসী মানুষ আছেন। তাই তাঁরা জেলে যেতে রাজি। কিন্তু কোলে বসতে রাজি নন। তিনি এই কথায় রাজ্যপালের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন। এদিন রাজ্যপালের ৩৭০ ধারা রদকে সমর্থন করা নিয়ে মমতা এই ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, কেন ফারুক আবদুল্লাদের জেলে আটকে রেখে ৩৭০ ধারা রদ করতে হল। আজও তিনি জেলে। এই কি গণতন্ত্র। কেন কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি হেলিকপ্টার প্রসঙ্গেও রাজ্যপালকে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। কিন্তু কেন পাননি, তা না জেনেই তিনি নিশানা করলেন।
এদিন মহারাষ্ট্রে বিজেপির মহাচমকের তিনদিন পর মহাপতন প্রসঙ্গে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে খোঁচা দেন বিজেপিকে। খোঁচা দেন রাজ্যপালকেও। বলেন, মধ্যরাতে স্বাধীনতার কখা শুনেছি, মধ্যরাতে সরকার গঠনের কথা এই শুনলাম। কেন মহারাষ্ট্রে চুপিচুপি সরকার গঠন করা হল, প্রশ্ন ছুড়লেন মমতা।
ওদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ফের বিঁধলেন রাজ্যপাল। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যের মাঝেই খোঁচা দিতে ছাড়লেন না মমতার সরকারকে। তিনি বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে সর্বদা আপস করে চলতে হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন, আমি সকলের কাছে মৌলিক দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য আবেদন করছি।
তিনি এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার বিষয়েও কথা বলেন। এই ৩৭০ ধারা রদ সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারাকে ধ্বংস করবে। সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ করতে এই ৩৭০ ধারা বাতিল করা জরুরি ছিল। রাজ্যপালের এই কথার প্রেক্ষিতে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
মমতা বলেন, আমার সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও লড়াই নেই। গভর্নর একটি সাংবিধানিক পদ। আমি কখনও কোনও রাজ্যপালের সাথে যুদ্ধ করিনি। তিনি কেন এই পরিস্থিতি তৈরি করছেন তা আমি জানি না। আমরা জানি তিনি কার নির্দেশে এইসব করছেন। আমরা জানি তাকে কে পাঠিয়েছে এবং তার কাজ কী।
বাংলার গভর্নর জগদীপ ধনকড় বলেন, আমাকে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবুও আমি সংবিধান দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। আমার পথে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেন আমি সংবিধানকে সমর্থন করি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদে থেকে অনেক কিছু আপোশ করি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.