Header Ads

অসমে আবার হবে এনআরসি, জাতীয় পৰ্যায়ের ভিত্তিবৰ্ষকে মেনে নেবে অসম সরকারঃ জানালেন বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা

 ছবি, সৌঃ এএনআই
নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ
অসমে আবার হবে নতুন করে এনআরসি। বুধবার রাজ্যসভায় এনআরসি প্ৰসঙ্গে স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী অমিত শাহের বক্তব্যের পরিপ্ৰেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্ৰভাবশালী বিজেপি নেতা এবং অসমের অৰ্থ, স্বাস্থ্য ও পূৰ্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা।

তিনি জানান- ‘সারা দেশের সঙ্গে অসমে আবার এনআরসি হবে।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র দেশব্যাপী এনআরসির ঘোষণা করেছে এবং অসমেও আবার এটি করা হবে। এমনকি নতুন ভিত্তি বর্ষ স্থির হবে। দেশব্যাপী এনআরসি-এর পূর্বে অমুসলিম অভিবাসীদের সুরক্ষার জন্য ক্যাব (নাগরিক সংশোধনী বিল) সংসদে পাস হবে।’
তিনি আরও বলেন - প্ৰকাশিত এনআরসি তালিকায় যাদের নাম ঢোকানোর নয় তাদের নাম ঢুকেছে। আর প্ৰকৃত ভারতীয়ের নাম বাদ পড়েছে। তাই এই এনআরসি গ্ৰহণযোগ্য নয়। নতুন করে গোটা দেশে এনআরসি প্ৰস্তুতের যে ভিত্তিবৰ্ষ ঠিক করা হবে তা মেনে নিতে রাজি রাজ্য সরকার।

এদিন রাজ্যসভায় এনআরসি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘হিন্দুদের এনআরসি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউকেই এনআরসি থেকে বাদ দেওয়া হবে না।’ সেইসঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের এনআরসি-র মাধ্যমে টার্গেট করা হচ্ছে বলে ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটূক্তি করেছেন।

প্ৰসঙ্গত, অসমে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) অর্থাৎ নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয় ৩১ অগাস্ট ২০১৯, শনিবার। যে তালিকায় স্থান পায় ৩.১১ কোটিরও বেশি নাম। আর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৩ কোটি। ফলে এই চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম। তবে ২০১৮ সালে প্রকাশিত খসড়া তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল ৪০ লক্ষ নাম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.