Header Ads

পলাতক স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী নিত্যানন্দ, অভিযুক্তের দেশ ছাড়ার কোনও খবরই নেই বিদেশ মন্ত্ৰকের কাছে

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ

অপহরণ ও আমদাবাদের শিশুদের বেআইনি ভাবে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী নিত্যানন্দ ও তাঁর কয়েক জন অনুগামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার নিত্যানন্দের অনুগামী প্রাণপ্রিয়া ও প্রিয়তত্ত্ব নামের দুই মহিলাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত রয়েছেন তারা। বুধবার এফআইআর দায়ের হয় নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে। কিন্তু জানা গেছে, তার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরু। 

ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
তবে বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, তাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা গুজরাত পুলিশও তাদের কিছু জানায়নি বলে দাবি বিদেশ মন্ত্রকের। এর আগেও বিজয় মালিয়া থেকে শুরু করে নীরব মোদি বড় অংকের জালিয়াতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো নজির এ দেশে প্ৰচুর রয়েছে। সেক্ষেত্ৰেও বিদেশ মন্ত্ৰকের কাছে কোনও খবর নেই বলে দাবি করেছে।
তবে গুজরাত পুলিশের একটি সূত্ৰ মতে জানা গিয়েছে - ত্ৰিনিদাদ ও টোবাগোতে আছে নিত্যানন্দ। পুলিশের একাংশের মতে অভিযুক্ত নিত্যানন্দকে এখানে খোঁজার চেষ্টা সময় নষ্ট ছাড়া কিছু নয়। যদি তিনি দেশে ফেরেন তাহলে অবশ্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। আবার একটি সূত্র বলছে, সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, বাইরে থেকেও নিত্যানন্দকে ধরে আনা যেতে পারে।
এর আগেও ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশের সিমলার ৫০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম থেকে যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিত্যানন্দকে। গত বছর জুন মাসেও কর্ণাটকের গডম্যান স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে চার্জ গঠিত হয়েছিল। সেই বিতর্কিত ধর্মগুরু বেঙ্গালুরুতে এক শিক্ষায়তন চালান।

গত সোমবার জনার্দন শর্মা নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী গুজরাত হাইকোর্টে অভিযোগ করেছেন, ২০১৩ সালে তাঁদের চার কন্যাকে সেখানে ভর্তি করেছিলেন। তাদের বয়স ছিল সাত থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। পরে তাঁরা শুনতে পান, মেয়েদের বেঙ্গালুরু থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নাকি এখন আমদাবাদে যোগিনী সর্বজ্ঞপীঠম নামে এক শিক্ষায়তনে আছে। একথা শুনে তাঁরা মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমেদাবাদের শিক্ষায়তনের কর্মকর্তারা দেখা করতে দেননি।

তখন ওই দম্পতি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশের সহায়তায় তাঁরা দুই নাবালিকা কন্যাকে ফেরত পান। কিন্তু বড় দুই মেয়ে তাঁদের সঙ্গে আসেনি। তাদের এক জনের নাম লোপামুদ্রা (২১), অপর জনের নাম নন্দিতা (১৮)। গুজরাত হাইকোর্টে ওই দম্পতির অভিযোগ, লোপামুদ্রা ও নন্দিতাকে আশ্রম কর্তৃপক্ষ দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছে। তাদের ঘুমোতে দেওয়া হচ্ছে না।

হাইকোর্টে জনার্দন শর্মা ও তাঁর স্ত্রী আবেদন করেছেন, পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হোক যেন তাঁদের দুই কন্যাকে আশ্রম থেকে উদ্ধার করা হয়। কয়েক জন নাবালিকা এখনও আশ্রমে আটকে আছে। সে ব্যাপারেও পুলিশ তদন্ত করুক। জানা গেছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই আশ্রম থেকে নিখোঁজ হয়েছেন এক তরুণী। তাঁর সন্ধানেও তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.