Header Ads

এক ইঁদুরে রেস্তোরাঁর ১৯০ মিলিয়ন ডলার লোকসান

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্কঃ 

চীনের একটি প্রসিদ্ধ চেইন রেস্তোরাঁর খাবারে ইঁদুরের ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটির ১৯০ মিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।জিয়াবু জিয়াবু নামের ওই রেস্তোরাঁর এক ভোক্তা তার খাবারের মধ্যে পাওয়া মরা ইঁদুরের ছবি চপস্টিকে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ছবি আপ করলে বিদ্যুৎগতিতে তা ভাইরাল হয়ে যায়।


এ ঘটনার পরপরই প্রতিষ্ঠানটি তাদের শানডং প্রদেশের ওই আউটলেটটি বন্ধ করে দেয়।ওই ভোক্তাকে (সন্তানসম্ভবা নারী) পাঁচ হাজার ওয়ান ( ৭২৯ মার্কিন ডলার) জরিমানা দিতে চেয়েছে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।এ খবর চাউর হয়ে পড়লে চেইন রেস্তোরাঁটির আয়ে রেকর্ড পরিমাণ ধস নামে। এতে দেখা যায় মরা ইঁদুরের ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির ১৯০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।সন্তানসম্ভবা ওই নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটির সঙ্গে দেয়া স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘জিয়াবু জিয়াবু রেস্তোরাঁর খাবার অনেকের মতো আমারও অনেক প্রিয়।কিন্তু একটি খাবারের কিছু অংশ খাবার পর এ থেকে একটি মরা ইঁদুর পেয়ে আমি বমি করতে থাকি। এতে আমার স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। আমার অনাগত সন্তানের ওপরও এর প্রভাব পড়বে কিনা তা নিয়ে আমি শঙ্কায় আছি।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি হলে জরিমানা হিসেবে ২০ হাজার ওয়ান দেবে।

রাত ফুরোলেই সঙ্গিনীকে ছেড়ে যায় সঙ্গী
আংটি বদল, বিয়ের অনুষ্ঠান- কোন কিছুই হয় না। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকার কোনও ব্যাপার নেই। তবে অবাক হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, বিয়ের পর পাত্রকে রাতে পাত্রীর বাড়িতে থাকে। আর সকাল হলে ফিরে যায় নিজের বাড়ি।তিব্বত সীমান্তের কাছে, চীনের ইয়ুনান ও সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দা এরা। এদের বলা হয় মোসুও জনগোষ্ঠী। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় লেক লুগুর পাড়েই বাস করে এই গোষ্ঠী। তাদের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। জনসংখ্যা এত কম বলে চীনের প্রশাসন এই গোষ্ঠীকে পরিচিতি দেয় না।মোসুও গোষ্ঠী মাতৃতান্ত্রিক। এখানে সব কিছুর নেতৃত্বে নারীরা। বাড়ির কাজকর্ম থেকে গোষ্ঠীর প্রশাসনিক দায়দায়িত্ব, সবই বহন করেন তারা। এদের বিয়ের রীতি হচ্ছে ছেলে-মেয়ে নিজেরাই নিজেদের পছন্দ করে। বিয়ের পর রাতে ছেলে যায় মেয়ের বাড়িতে। সকাল হলে সে ফিরে যায় নিজের বাড়ি। এমনভাবেই সম্পর্ক চলে দুজনের। যত দিন মনে হয়, তত দিন। যে ঘরে পাত্র-পাত্রী রাত কাটায় তাকে ‘ফ্লাওয়ার রুম’ বলা হয়। একজন নারীর সঙ্গে যে একজন পুরুষেরই সম্পর্ক থাকে তা একেবারেই নয়। এছাড়া মহিলারা অন্তঃসত্ত্বা হলে, তার সন্তানের পিতৃ পরিচয়েরও প্রয়োজন হয় না। শিশুটি বেড়ে ওঠে তার মায়ের কাছেই।চীনারা মোসুও সম্প্রদায়কে হীন দৃষ্টিতে দেখে। তারা মনে করে, এই সম্প্রদায় এখনও আদিম যুগেই পড়ে রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.