Header Ads

কংক্রিটের মহানগরে শীতের আগমন, গরম কাপড়ের সেজে উঠেছে দোকান,



দেবযানী পাটিকর।
কংক্রিটের মহানগরে শীত এসেছে ,কুয়াশা ঢাকা ভোর ,শীতের মিঠে রোদ, হলুদ সর্ষের মাঠ, পাটালি গুড় ,পিঠা পায়েস ও সন্ধ্যায় আনন্দ ও কষ্টের মিশেল নিয়ে আমাদের জীবনে শীতকাল  হাজির হয় ।শীতের এই ছবিগুলো আমাদের খুব বেশি চেনা।শীতের আগমনে শুরুতেই আমাদের প্রয়োজন হয় গরম কাপড়ের। আর শীত আসার সাথে সাথেই নগরের দোকানগুলো শীতের বিভিন্ন গরম কাপড়ে সেজে উঠেছে। শহরের পল্টন বাজার, ফাঁসি বাজার বেলতলা, মণিপুরী বস্তি ,নুনমাটি ইত্যাদি বিভিন্ন বাজার বর্তমানে সেজে উঠেছেগরম কাপড়ে।লোকেরা কেনাকাটা শুরু করেছে। বিভিন্ন শো-রুম গুলিতে গরম কাপড় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ঠান্ডা মরসুমে বিক্রির ভালো হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে ।এ সমস্ত দোকানে ছোট বাচ্চাদের সোয়েটার থেকে বড়দের সুন্দর -সুন্দর রংবেরঙের বিভিন্ন ডিজাইনের গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে । পল্টন বাজার স্থিত নেপালী মন্দিরের আশেপাশে এলাকায় প্রতিবেশী দেশ ভুটান, নেপাল তিব্বত থেকে আসা অনেক ব্যবসায়ীরা দোকান সাজিয়ে বসেছে।সোয়েটার,মাফলার, টুপি ,চাদর,জ্যাকেট হাল ফ্যাশনের  ডিজাইনের বিভিন্ন গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। জেএস রোড স্থিত  মনিপুরী বস্তির আশেপাশে প্রায় ২০টি গরম কাপড়ের দোকান সেজে উঠেছে। এসব ব্যবসায়ীরা গরম কাপড়ের সম্ভার নিয়ে শীতের শুরুতেই  দোকান সাজিয়ে বসে ।এখানেও অনেক সুন্দর সুন্দর রং -বেরং এর সোয়েটার,আকর্ষক গরম কাপড়  পাওয়া যাচ্ছে । প্রায় ৭০০ টাকা থেকে ১৫০০টাকার   মধ্যে মহিলাদের সোয়েটার, ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত শাল,ও ৮০০টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও টুপি মাফলার ,দস্তানা ও পাওয়া যাচ্ছে। ওদিকে কাশ্মীর থেকেও গরম কাপড় শাল ,চাদর নিয়ে বিক্রির উদ্যেশ্যে ব্যবসায়ীরা শহরে চলে এসেছে।বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে অনেকে গরম কাপড় বিক্রি করতে শুরু করেছে। পুরো শীতকালটা ওরা গরম কাপড় বিক্রি করে শীতের শেষে পুনরায় নিজের জায়গায় ফিরে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.