Header Ads

তৃণমূলে পিকে-কৌশলে কাজ শুরু, প্রার্থী নির্বাচনে প্রয়োগ করা হচ্ছে পরামর্শ

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। টিম পিকের পরামর্শ মেনেই পুরনো তৃণমূলীদের উপর ভরসা রেখে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে উপনির্বাচনে। খড়গপুর সদর থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরেও নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করার কাজে লাগানো হয় প্রশান্ত কিশোর বাহিনীকে। সেই রিপোর্ট মোতাবেক প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে সকলের সঙ্গে কথা বলে প্রশান্ত কিশোরের টিম। সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে নেতৃ্ত্বের কাছে রিপোর্ট দেয়। সেইমতো চূড়ান্ত নাম স্থির হয়। লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর রাজ্যে ভোট কৌশলী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে।
প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশলী হিসেবে নিয়োগের পর এই তিন কেন্দ্র উপনির্বাচনই প্রথম পরীক্ষা। তাই টিম পিকেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই তৃণমূল প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। স্থানীয়দের প্রার্থী করে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে।
খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে প্রদীপ সরকারকে, করিমপুরে প্রার্থী হয়েছেন বিমলেন্দু সিংহ এবং কালিয়াগঞ্জে প্রার্থী হয়েছেন তপন দেব সিংহ। খড়গপুর সদরে ও এবং কালিয়াগঞ্জে কখনও তৃণমূল জেতেনি। এবার দুই কেন্দ্রেই স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধিকে প্রার্থী করে বাজি জিততে চাইছে তৃণমূল।
লোকসভা নির্বাচনের পর দলের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে, পুরনো তৃণমূল নেতাকর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়াই তৃণমূলের খারাপ ফলের অন্যতম কারণ। দলে পুরনোরা গুরুত্ব পাচ্ছিল না, নব্যরাই উঠে আসছিল। নব্যদের অবশ্যই উঠে আসতে হবে, গুরুত্বও দিতে হবে। সেইসঙ্গে পুরনোদেরও ভুলে গেলে চলবে না। তাঁদের হাত ধরেই পরিবর্তন এসেছিল বাংলায়। এবার তাঁদেরকেই গুরুত্ব দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামছে শাসক তৃণমূল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.