Header Ads

সরস্বতী নদীর তীরেই হরপ্পা সভ্যতার প্রথম বসতি? আইইটি বম্বের গেবষণায় উঠে এল নতুন তথ্য !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ

যেই ঘাগ্গড় নদীর পারে প্রাথমিক ভাবে হরপ্পানরা তাদের বসতি
স্থাপন করেছিল সেটি পরবর্তীতে পৌরাণিক সরস্বতী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন গবেষকরা। এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্পষ্ট প্রমাণও রয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
১৯ শতকে অনুমান করা হত যে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের মাঝে প্রবাহিত ঘাগ্গড়-হাকড়া নদী প্রথাটিই আসলে সরস্বতী। তবে ঋগবেদের নদীর অস্তিত্বের কোনও অকাট্য প্রমাণ না থাকায় সেই অনুমান সার্বিক ভাবে খারিজ করেন ইতিহাসবিদ ও ভূতত্ববিদরা। তখনও মনে করা হত যে মূলত বর্ষার জল ব্যবহার করেই বেঁচে থাকত হরাপ্পা সভ্যতার মানুষ। 

২০ নভেম্বর 'সায়েন্টিফিক রিপোর্ট' জার্নালে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন আইআইটি বম্বের ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা। এই গবেষণায় আইআইটির সঙ্গে কাজ করেন আহমেদাবাদের ফিজিকাল রিসার্চ ল্যাবোরেটরির গবেষকরাও। সেই গবেষণামূলক প্রতিবেদনেই লেখা হয়, "বহু বছর বেঁচে থাকা ঘগ্গড় নদীর উপর গবেষণা করে আমরা হরাপ্পান সভ্যতার ওই অঞ্চলের ৩০০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নদীর অস্তিত্ব পেয়েছি।" 


গবেষণায় দাবি করা হয়, হরাপ্পার মানুষ তাদের প্রাথমিক বসতি ঘগ্গড় নদীর পাশে তৈরি করেছিলেন। আজ থেকে ৯০০০ থেকে ৪,৫০০ বছর আগের সেই হরাপ্পা বসতির পাশের নদী পরে সরস্বতী নামে পরিচিত হয়। তবে হরাপ্পা সভ্যতার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিমবাহর সঙ্গে নদীটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
গবেষকরা মনে করেন, মহেনজোদারো ও হরাপ্পার মতো বড় শহরগুলি ইন্দাস ও রবি নদীর পারে তৈরি করা হয়। তবে স্থানীয় স্তরে সেই সভ্যতার মানুষ এরকম কোনও নদীর পারে বসতি কেন তৈরি করবে যে নদীটি শুকিয়ে যাচ্ছে। এর থেকেই গবেষকরা অনুমান করছেন যে প্রথমে নদীটি হিমবাহের সঙ্গেই যুক্ত ছিল। পরে পরিবেশে বদল আসার জেরে সেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.