Header Ads

মহারাষ্ট্রে ৬ মাসের রাষ্ট্রপতি শাসন ! সব দলের কাছেই ‘ওপেন’ সরকার গঠনের সম্ভাবনা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
এনসিপিকে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অথচ তার আগেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হল- কোনও দল সংখ্যা প্রমাণ করলে রাষ্ট্রপতির শাসনের বিধি প্রত্যাহার করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র জানানো হয়েছে, আপাতত ছ'মাসের জন্য কার্যকর করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। এর মধ্যে যখনই কোনও দল সংখ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হবে, তখনই রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হবে। এখানে প্রশ্ন উঠেছে এদিনই যদি এনসিপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেয় তবে কি রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার করা হবে? তাহলে ঘোষণা করা হল কেন রাষ্ট্রপতি শাসন?

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বিজেপির সামনেও সুযোগ এনে দিয়েছে ফের। এখন এনসিপির হাতেই প্রথম সম্ভাবনা ছিল। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে প্রত্যেকের কাছেই ওপেন হয়ে গেল মহারাষ্ট্রের যুদ্ধ। যে দল আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হবে তার সুযোগই আগে।
রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ায় বিজেপি-সহ সমস্ত দল আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আগামী কয়েক দিন মহারাষ্ট্রের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলি অর্থাৎ
বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস ম্যাজিক ফিগার অর্জনের জন্য আলোচনায় বসবে। ঘোড়া কেনাবেচা নিয়েও উদ্বেগ থাকবে।
বিজেপি সরকার গড়তে অপারগ জানিয়ে দেওয়ার পর শিবসেনা রাজ্যপালের কাছে তিনদিনের সময় চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁদের জানিয়ে দেন, তিনদিন সময় দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে শিবসেনা বিপাকে পড়ে যায়। কংগ্রেসের কাছ থেকে আশ্বাস মিললেও সমর্থনের সরকারি সিদ্ধান্ত না পেয়েই শিবসেনা ব্যাকফুটে চলে যায়। এই অবস্থায় রাজ্যপাল এনসিপিকে সরকার গঠনের দাবি জানাতে বলে। তাদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ধার্য করেন রাজ্যপাল। তার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে।
এদিকে কংগ্রেস ছাড়া স্থায়ী সরকার সম্ভব নয় বুঝেই সেই লক্ষ্যে এনসিপি ও শিবসেনার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের জন্য আলোচনা চলবে বলে সম্মিলিতভাবে জানিয়ে দিল কংগ্রেস ও এনসিপি। মঙ্গলবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে শারদ পাওয়ার ও আহমেদ প্যাটেল রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সমালোচনা করেন।
কংগ্রেস ও এনসিপি উভয়েই জানায়, এনসিপিকে দেওয়া সময় এখনও অতিবাহিত হয়নি। তার মধ্যেই কী করে রাষ্ট্রপতি শসান জারি করা হল। তারপর কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল রাজ্যপালের, তাও জানাননি রাজ্যপাল।
কংগ্রেসের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মানেনি বিজেপি। আর রাজ্যপাল সংবিধান মানার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ পালন করতেই ব্যস্ত। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল জানান, শিবসেনা-এনসিপির সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের।জোটসঙ্গী বলে এনসিপির সঙ্গে আগে কথা। পরে শিবসেনার সঙ্গে কথা হয় উভয়েই তাঁদের সমর্থন চেয়েছিল সরকার গঠনের জন্য। তাই আলাদা করে কথা বলেছি আমরা।
এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওযার বলেন, রাষ্ট্রপতি শাসন নিন্দাজনক। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মানে না বিজেপি। তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল এদিন। এনসিপিও জানায়, আগে কংগ্রেসের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের, পরে কথা হয় শিবসেনার সঙ্গে। সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.