Header Ads

উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ সচিবালয় ও পরিষদের অধীনে থাকা সরকারী বিভাগগুলিতে সোমবার থেকে নতুন নিয়ম চালু হল

বিপ্লব দেব, হাফলংঃ উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে আজ চালু হল নতুন নিয়ম। আজ থেকে কার্যকরী হল বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত পোষাক। এখন থেকে প্রতি সোমবার উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের নর্মাল সেক্টরের কর্মী ও পার্বত্য পরিষদের অধীনে থাকা বিভিন্ন সরকারী কার্যালয়ের কর্মচারীদের প্রতি সোমবার নিজ নিজ পরম্পরাগত পোষাক পরিধান করে কার্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে। আজ প্রথম দিন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ সচিবালয় ও পরিষদের অধীনে থাকা বিভিন্ন সরকারী কার্যালয়ের কর্মচারী নিজেদের পরম্পরাগত পোষাক পরে উপস্থিত হয়েছেন কার্যালয়ে ডিমাসা নাগা মার কুকি বেইতে রাংখল বাঙালি নেপালি অসমীয়া সব জাতি গোষ্ঠীর কর্মীরা সোমবার নিজ পরম্পরাগত পোষাক পরেই কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন। 

এদিকে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধ্যক্ষ রানু লাংথাসা ও ইএম গলোঞ্জ থাওসেন নিজ নিজ পরম্পরাগত পোষাক পরিধান করে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এদিকে উত্তর কাছাড় পার্বত্য পরিষদের সিইএম দেবোলাল গার্লোসা সরকারি কাজে জেলার বাইরে থাকায় আজ কার্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারলে ও সিইএমের নির্দেশে পার্বত্য পরিষদ সচিবালয়ের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন। ইএম পরিদর্শন কালে পরিষদের দুই কর্মী পরম্পরাগত পোষাক পড়ে না আসায় এদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানান। এদিকে ইএম গলোঞ্জ থাওসেন জানান দেবোলাল গার্লোসার নেতৃত্বে বিজেপি শাসিত উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সমিতি গত ২৯ অক্টোবর এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করার পর ৩১ অক্টোবর দ্বাদশ উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের চতুর্থ অধিবেশনে
এতে অনুমোদন জানানোর পর ৩১ অক্টোবর পার্বত্য পরিষদের নর্মাল সেক্টরের প্রধান সচিব মুকুট কেম্প্রাই এক নির্দেশ জারি করে এবং ৪ নভেম্বর থেকে পরিষদ সচিবালয়ের কর্মীদের নিজ নিজ পরম্পরাগত পোষাক পরিধান করে কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ জারি করেন। নির্দেশে আরো উল্লেখ যে সব কর্মচারী এই নির্দেশ অমান্য করবে এসব কর্মীর এক মাসের বেতন কর্তন করা হবে। এবং এই নির্দেশ পার্বত্য পরিষদের সিইএম অধ্যক্ষ ইএম ও পরিষদ সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে প্রধান সচিবের নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.