Header Ads

করিমগঞ্জে জল সরবরাহের কেমিকেলের টাকা তার বেতন থেকে কেটে নেওয়ার আর্জি জানান কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ




অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি।
বরাকের আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী শহর করিমগঞ্জের পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে বিধানসভার জিরাে আওয়ারে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ জলসরবরাহবন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কেমিকেলের অভাবে জলবরাহ করা হচ্ছে না গত দু'মাস ধরে। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে এক দিনের জন্যেও কেমিকেলের অভাবে সরবরাহ বন্ধ হয়নি। প্রায় এক লক্ষ মানুষ গত দুমাস ধরে জল পাচ্ছে না। সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’এর কথা বলছে। বরাক ব্রহ্মপুত্রের সমমর্যাদা সমউন্নয়নের কথা বলছেন। অথচ বরাকেরই উল্লেখযােগ্য শহর পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জলই জীবন। সেই জলই পাওয়া যাচ্ছে না। মাত্র সাত লক্ষ টাকা ব্যয় করে কেমিকেল যােগান দিতে পারছেনা সরকার। তিনি প্রস্তাব দেন, তার বেতনের টাকা কেটে নিয়ে কেমিকেল কিনে করিমগঞ্জ শহরকে জল সরবরাহ করা হােক। তিনি প্রশ্ন তুলেন, এ কী পরিবর্তন? যে পরিবর্তনে মানুষকে জল সরবরাহ করা যায় না। কংগ্রেস আমলে দিনে দুবার করে জল সরবরাহ করত। এখন একবারও পাওয়া যাচ্ছে। না। বলেন, করিমগঞ্জের বৃহৎ জলসরবরাহ প্রকল্পের জন্য ডিপিআর প্রস্তুর করা হয়েছিল। তার কোনও খবর নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরী মন্ত্রী রিহন দৈমারি জবাবে জানান, বড় বড় শহরের জল সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কাজ নেই। গ্রামাঞ্চলেই তাদের কাজ সীমাবদ্ধ। তাদের আর্থিক ক্ষমতাও সীমাবদ্ধ। শহরে জল সরবরাহ প্রকল্পের জন্য পুরবাের্ড গুলি দায়িত্ব বহন করে থাকে। তাদের বাজেটও সীমিত। করিমগঞ্জ এখন গ্রাম এলাকা নয়। শহর এলাকা। শহরের পুরসভাকে ভবিষ্যতে জল সরবরাহের ব্যবস্থার দায়িত্ব নিতে হবে। টেন্ডার দেওয়া হয়েছে কেমিকেল সরবরাহের ব্যবস্থা হচ্ছে। তিনি জল সরবরাহের ব্যাপারে নতুন প্রস্তাব পাঠাবার জন্য বিধায়ককে আর্জি জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.