আমি দোষ মুক্ত বললেন ASI অফিসার কেকে মোহম্মদ, ইনিই বলেছিলেন মসজিদের আগে সেখানে মন্দির ছিল !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
অযোধ্যা বিবাদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল। এছাড়াও আরেকজন ছিলেন, যিনি অধীর আগ্রহে আজ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (ASI) প্রাক্তন নির্দেশক কে.কে মোহম্মদ। তিনি ASI এর নির্দেশক থাকাকালীন আদালতে নিজের রিপোর্ট পেশ করেছিলেন।

ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (ASI) এর প্রাক্তন নির্দেশক ডঃ কে.কে মোহম্মদ বলেন, আজ নিজেকে দোষ মুক্ত বলে মনে হচ্ছে। তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ হওয়ার আগে রাম মন্দির ছিল ‘ তিনি বলেন, আমাকে একটি সম্প্রদায় অনেক অনেক কথা শুনিয়েছে। কিন্তু আজ আমি খুব খুশি। কারণ আজ আমরা সবাই যেটা চাইছিলাম, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যা মামলা নিয়ে এর আগে কে.কে মোহম্মদ বলেছিলেন যে, এএসআই-এর তদন্ত করা পুরাতাত্ত্বিক আর ঐতিহাসিক সাক্ষ্য প্রমাণ অবলম্বনে, আদালত এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে সেখানে বাবরি মসজিদের আগে একটি বড় মন্দির ছিল। ফলে ওখানে আবারও একবার মন্দির নির্মাণ করা উচিত।
আরেকদিকে, অযোধ্যা মামলার রায় আসার পর AIMIM চীফ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানান, তিনি অযোধ্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে
সহমত নন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর হায়দ্রাবাদের সাংসদ ওয়াইসি বলেন, মুসলিম পক্ষ নিজের অধিকারের জন্য আইনি
লড়াই লড়ছিল। মুসলিম পক্ষ নিজেদের জন্য নিজেদের পয়সা
দিয়ে মসজিদ বানাতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ, কিন্তু অব্যর্থ নয়।
AIMIM আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর বলেন, আমি আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই। আমি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এই কথায় সহমত যে, সুপ্রিম কোর্ট সুপ্রিম, কিন্তু তাঁরা অব্যর্থ নয়। মুসলিম সমাজ নিজেদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। আমাদের কোন ভিক্ষার দরকার নেই। আমি নিজের দিক থেকে বলছি যে, পাঁচ একর জমির অফার ফেরত দিয়ে দেওয়া উচিত। উনি আরও বলেন, ফ্যাক্টস এর উপর আস্থার জয় হয়েছে। আর এখন সবথেকে বড় আশঙ্কা যে, সঙ্ঘ এবার কাশী আর মথুরার কথাও তুলবে !