Header Ads

মমতার ‘ভিশন ১০ ও ২০’! একুশের লক্ষ্যে ‘ভবিষ্যৎ’ পরিকল্পনা তৃণমূল সরকারের

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : রাজ্যের মানুষকে উন্নততর নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার। সেই কারণেই তিনি মা-মাটি-মানুষের সরকার আখ্যা দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে অনেক জনমুখী প্রকল্পই নেওয়া হয়েছে। এবার সামগ্রিক উন্নয়ন আর নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় 'ভিশন ১০ ও ২০' পরিকল্পনা নিলেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন এই ‘ভিশন ১০ ও ২০' পরিকল্পনা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কী এই ‘ভিশন ১০ ও ২০'?  আগামী ১০ বছর পরে পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল, নিকাশী, খাদ্য সরবরাহ-সহ নানা ক্ষেত্রে চাহিদার পরিমাণ কী হতে পারে, তার আগাম পরিকল্পনাই হচ্ছে ভিশন-১০। একইভাবে আগামী ২০ বছরের কর্মপন্থা নির্ধারণের লক্ষ্যে তৈরি ভিশন-২০।
আলিপুরের ‘সৌজন্য' ভবনে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ‘ভিশন-১০ ও ২০'-র পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২০ সালের গোড়া থেকেই ‘ভিশন-১০ ও ২০'-র পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হবে। মমতা জানান, রেলমন্ত্রী থাকার সময় ‘ভিশন-২০২০'-র পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।
তাঁর দাবি, তাঁর ভিশন ২০২০ মেনেই এখনও রেলের সব কাজ হচ্ছে। বেসরকারিকরণ বাদে সবটাই ছিল তাঁর ভিশন ২০২০-তে। সেই অনুযায়ীই এবার রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন ও নাগরিক পরিষেবাকে আরও গতিময় করতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ভিশন ১০ ও ২০-র উপস্থাপনা করেছি। তিনি বলেন, ১০ ও ২০ বছর বাদে জনসংখ্যার ভিত্তিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভালো হয়, তার আগাম রূপরেখা তৈরিই এই ভিশনের মূল উদ্দেশ্য। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষের পরিষেবা প্রদানে এই বিষয়গুলি জানা দরকার।
এই প্রসঙ্গে টালা ব্রিজের উদাহরণ দেন মমতা। তিনি বলেন, ব্রিজ তৈরির সময় যদি জানা থাকত, এটা কতদিন চলবে। কতটা বহন ক্ষমতা থাকবে, তাহলে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তা জানার কোনও সুযোগই ছিল না। ভবিষ্যতে যাতে এরকম কোনও কাজ সম্পূর্ণ করতে বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্যই আগাম পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.