শেলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট পড়ল ৮৪.৫৬ শতাংশ
ননী গোপাল ঘোষ : শেলা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোট ভোট পড়ল ৮৪.৫৬ শতাংশ। ২৯,৭৯০ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিলেন ২৫,১৯১ জন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮৫.৩৪ শতাংশ।
লেইতজেম ভোট কেন্দ্রে ভিভপিএটি মেশিন বিগড়ে যাওয়াতে বদলে দেওয়া হয় মেশিন। বাঙালি ভোটার অধ্যুষিত ইছামতী ও হাট মাজাই এলাকায় ব্যাপক হারে ভোট পড়েছে। সকাল থেকেই এই কেন্দ্রগুলিতে উৎসাহী ভোটারদের ব্যাপক লাইন দেখা গেছে।
শেলার মোট ৫৮-টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২ ভোট কেন্দ্রে গাড়িতে যাওয়ার উপায় নেই। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত নংরিয়াত এলাকা। যেখানে রয়েছে ডাবল ডেকার রুট ব্রিজ। গাছের শেকড়ের তৈরি এই সেতু পেরিয়েই যেতে হয় নংরিয়াতে। কালাটেক ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র উপায় নৌকা করে যাওয়া। বাঙালি ভোটার অধ্যুষিত কালাটেকেও ভোট পড়েছে ব্যাপক হারে।
এবারই প্রথমবারের মতো উপগ্রহ প্রযুক্তি 'স্কাইলো' ব্যবহার করা হয়। যার জেরে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে মোবাইলের থেকেও দ্রুত সংবাদ আদানপ্রদান করা গেছে। সম্পূর্ণভাবে মহিলা পরিচালিত ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ছিল দুইটি। সবুজ নির্বাচনের আবেদন জানানো হয়েছিল। যার ফলে সম্পূর্ণভাবে প্লাস্টিক ব্যবহার ছিল বর্জিত।
বৃহস্পতিবার রয়েছে এই কেন্দ্রের ভোটগণনা। ভোটগণনা হবে সোহরাতে (চেরাপুঞ্জি)। মেঘালয়া বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডাঃ ডনকুপার রয়ের আকস্মিক মৃত্যুর জেরে এই উপনির্বাচন। প্রার্থী রয়েছেন মোট ছয়জন। এতদিন ইউডিপি-র দখলে থাকা এই আসনে এবারও জয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ইউডিপি প্রার্থী প্রয়াত ডাঃ ডনকুপারের ছেলে বালাজিয়েদ কুপার সিনরেম। বিজেপির তরুণ প্রার্থী জসূয়া ওয়ারজ্রিও এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কংগ্রেস টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে কংগ্রেস প্রার্থী বাতেংশাইন লাইতমন রেগ্নার বিরুদ্ধে লড়ছেন স্বশাসিত জেলা পরিষদের সদস্য মহিলা প্রার্থী গ্রেস মেরি খারপুরি। মসজো রকফেলার ওয়ানসেট লড়ছেন পিডিএফ প্রার্থী হিসাবে । রয়েছেন আরেক নির্দল কোমেন লেইতমনও। শেলা কেন্দ্রের মেঘালয়ার শাসকজোট এমডিএ-র জোট হয়নি। যার ফলে শাসকজোটের শরিক হয়েও আলাদা লড়াইয়ে রয়েছে বিজেপি, পিডিএফ ও ইউডিপি। যদিও শাসকজোটের বড় শরিক এনপিপি সমর্থন করছে ইউডিপি প্রার্থীকেই। মুখ্যমন্ত্রী এনপিপি দলের কনরাড সাংমাও জোরদার প্রচার চালিয়েছিলেন ইউডিপি প্রার্থীর সমর্থনে।
কোন মন্তব্য নেই