Header Ads

দুলাল চন্দ্ৰ পালের মৃত্যু সন্দর্ভে বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতির পূৰ্ণ পাঠ



'ফরাম ফর সোসিয়াল হারমণির উদ্যোগে বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি:

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,গুয়াহাটি।ডিটেনছন কেম্পে বন্দী দুলাল চন্দ্ৰ পালের বিগত ১৩ অক্টোবরে মৃত্যু হয়। সংবাদ পাত্রে প্ৰকাশিত রিপোৰ্ট অনুসারে ডিটেনশন কেম্পে অমানবিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই তাকে মানসিক বিকারগ্ৰস্ত সজিয়ে ইলেক্ট্রিক শ্বক দেওয়া হয়েছিল। দুলাল পাল যে ভারতীয় নাগরিক ছিল তথা ১৯৭১ সনের অনেক আগের থেকেই অসমের স্থায়ী বাসিন্দা ছিল তার প্ৰামাণ সামনে এসেছে।

মৃত পালের পরিবারবর্গের দৃঢ় তথা সাহসী অবস্থানে চরকারের বিদেশী নিৰ্ধারণ প্ৰক্ৰিয়ার ট্ৰিবুনেল ব্যবস্থার ত্ৰুটিকে চোখে  আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। নাগরিক সবার প্ৰতি এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়াটা গণতন্ত্রকে পদদলিত করার  মান্যতা দেবার সমান। আমরা সকারের অবহেলাতে দুলাল চন্দ্ৰ পালের মৃত্যুর তীব্ৰ প্রতিবাদ জানাই। বিধান সভাতে এক প্রশ্নের উত্তরে(প্ৰশ্ন নং ৫১, তারিখ ২৯-০৭-২০১৯) মন্ত্ৰী দেওয়া তথ্য অনুসারে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ২৫।জনের ডিটেনশন।কেম্পের অমানবিক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই সমস্ত মৃত্যুৰ বিচারের জন্য বিভাগীয় তদন্তের দাবী জানিয়েছি।

দুলাল চন্দ্ৰ পালের পরিবারের অবস্থা ন্যায় সংগত। যে হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির মাঝে দুলাল পালের পরিবারের সদস্য সবাই সময় অতিবাহিত করেছে, তাঁদের এই সংকটের মুহূর্তের সহমৰ্মী। যেহেতু প্ৰয়াত দুলাল পালের প্ৰামাণ্য দলিল আছে, সেইজন্য।সরকারের হাতে তাকে ভারতীয় ঘোষণার বহু উপায় আছে। অযথা সময় অতিবাহিত নকরে চৰকাৰে তাঁকে ভারতীয় ঘোষণা করে তাঁর মৃতদেহকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে পরলৌকিক ক্ৰিয়া কৰ্ম করার সুযোগ দেওয়া হোক। একই সময়ে অসমের মানবতার বধ্যভূমিযে পরিণত করা অমানবীয় ডিটেনশন কেম্পের ব্যবস্থা বাতিল করার দাবীও আমরা উত্থাপন করেছি।

স্বাক্ষরকারীরা:

১) তোষপ্ৰভা কলিতা
২) জিতেন বেজবড়ুয়া(লেখক)
৩) পারিজাত নন্দ ঘোষ(মানব অধিকার কৰ্মী)
৪) অরূপ বৈশ্য(লেখক তথা সমাজকর্মী)
৫) পদ্মলোচন নাথ(সহকারী অধ্যাপক)
৬) ডঃ সুশান্ত কর(অধ্যাপক, তিনিসুকিয়া)
৭) ডঃ দেৱব্ৰত শৰ্মা(অধ্যক্ষ, যোরহাট মহাবিদ্যালয়)
৮) কমল নয়ন মিশ্ৰ(লেখক তথা প্ৰবক্তা, নলবারী)
৯) ডঃ ঋতুরাজ কলিতা(অধ্যাপক, কটন বিশ্ববিদ্যালয়)
১০) রবছন মুন্ডা(সভাপতি, ঝারখণ্ডি সংগ্ৰাম পরিষদ)
১১) লোহিত কৃষ্ণ মিশ্ৰ(প্ৰাক্তন কেন্দ্ৰীয় চরকারের অধিকারী, গুৱাহাটী)
১২) শান্তিরঞ্জন মিত্ৰ(প্ৰাক্তন শিক্ষক তথা সমাজকর্মী)
১৩) দেবজিত চৌধুরী(সমাজকর্মী)
১৪) বিজন দাস(প্ৰাক্তন মহাধিবক্তা, ত্ৰিপুরা)
১৫) বনমল্লিকা চৌধুরী(লেখিকা তথা সমাজকর্মী)
১৬) অশ্বিনী গোস্বামী(সমাজকর্মী)
১৭) শিবজিত দত্ত(লেখক, সহকারী অধ্যাপক)
১৮) মইনা গোস্বামী(সমাজকর্মী)
১৯) জ্ঞানেন চক্ৰবৰ্তী
২০) প্ৰীতিসা গোস্বামী(প্ৰবক্তা তথা সাংবাদিক)
২১) অচিত বরণ চক্ৰবৰ্তী(সমাজকর্মী)
২২) তুনুজ্যোতি গগৈ
২৩) পারভিন চুলতানা(সহকারী অধ্যাপিকা, গৌরীপুর মহাবিদ্যালয়)
২৪) অনুপম চক্ৰৱৰ্তী(স্বাধীন সাংবাদিক)
২৫) বিশ্বজিৎ বরা (সহকাৰী অধ্যাপক, শ্যামা প্ৰসাদ মুখাৰ্জী মহিলা মহাবিদ্যালয়, দিল্লী)
২৬) ত্ৰিদীপ নীলিম দত্ত(সাংবাদিক)
২৭) স্বাদিকুর রহমান বরুয়া(অভিযন্তা, গুয়াহাটী)
২৮) কিরণ কুমার তাঁতী(যোরহাট)
২৯) অনিল কুমার বরুয়া
৩০) আব্দুল কালাম আজাদ(গবেষক, ভৃজে ইউনিভাৰ্চিয়েট, আমষ্টারডাম)
৩১) ডঃ ঘনশ্যাম নাথ(প্ৰাক্তন অধ্যক্ষ, গুৱাহাটী কমাৰ্চ ও কে চি দাস কমাৰ্চ কলেজ)
৩২) ডালিম দাস(গল্পকার)
৩৩) প্ৰণব জ্যোতি ডেকা
৩৪) ভুৱনেশ্বর লহকর
৩৫) আবু এম পি হুছেইন
৩৬) সুমন্ত সৌরভ কাকতি
৩৭) রাবেদ ভূঞা
৩৮) সন্দীপন তালুকদার
৩৯) কৌশিক তালুকদার
৪০) বিপ্লব আহমেদ
৪১) রিপুঞ্জয় গগৈ(লেখক তথা সাংবাদিক)
৪২) মুকুট লোচন কলিতা( সমাজকর্মী)
৪৩) হরকুমার গোস্বামী(আহ্বায়ক, ফরাম ফর সোশিয়েল হারমণি)
৪৪) প্ৰসূন গোস্বামী (শিক্ষা কৰ্মী, মধ্য ভারত)
৪৫) অনন্ত কলিতা(নিবন্ধকার)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.