Header Ads

মমতাকে হারাতে মোদীই ‘ট্রাম্পকার্ড’ বিজেপির, ‘বিশ্বাসের নামে’ স্বপ্ন দেখছেন দিলীপ ঘোষরা

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : বাংলায় পরিবর্তনই পাখির চোখ বিজেপির। ২০১৯-এ মোদী ম্যাজিকে ভর করে লোকসভা ভোটে সাফল্য পাওয়ার পর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে ফের সেই মোদীকেই মুখ করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নির্দেশের পর নাগরিক বিল প্রাধান্য পাচ্ছে বঙ্গে। তা আইনে পরিণত হওয়ার পরই মোদীর ব্রিগেড সভা থেকে এনআরসি প্রচারে ঝড় তুলবে বিজেপি।
আগেই বিজেপির লক্ষ্য স্থির করে দিয়ে গিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন এই মুহূর্তে এনআরসি ইস্যুকে সামনে না এনে নাগরিক বিল নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলতে। এই বিল পাস হওয়ার পরই এনআরসি নিয়ে ময়দানে নামবে বিজেপি। আগামী বছরের শুরুতেই মোদীকে এনে ব্রিগেড সমাবেশ করিয়ে ২০২১-এর লক্ষ্যে নামবে গেরুয়া শিবির।
অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষরা বলেছেন বিজেপি ২০২১-এ বাংলায় ২০০-র বেশি আসন পাবে। আর মুকুল রায় জানিয়েছেন তৃণমূলকে ৩০-এ নিচে নামিয়ে দেব এবার। সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে যে এনআরসিকেই প্রধান ইস্যু করা হবে এ ব্যাপারে লক্ষ্যস্থির বিজেপির। মোট কথা বাংলায় মমতার শাসনের অবসান ঘটাতে অঙ্ক কষে নামছেম মোদী-শাহরা।
এর আগে মোদীকে মুখ করে প্রভূত সাফল্য মিলেছে বিজেপির। উত্তর-পূর্বের ত্রিপুরায় বাম রাজত্বের অবসান ঘটেছে মোদীকে মুখ করেই। তারপর লোকসভাতেও সেই মোদীই মুখ। রাজ্যে ২ থেকে বেড়ে ১৮ বিজেপি। এটাকে ইউএসপি করেই বাংলা জয়ের লক্ষ্যে নামছেন মুকুল-দিলীপরা। দিলীপ ঘোষ তো বলেই দিলেন, মোদী একটা বিশ্বাসের নাম। তাই মোদীই মুখ রাজ্যে।
অমিত শাহ বলেন, বাংলায় বিজেপি জিতবে কি না, এর আগে মানুষের মধ্যে সন্দেহ ছিল। যখন আমি বলতাম যে আমরা ২৩টি আসনে জিতব, তখন লোকেরা আমাদের সন্দেহ করত। কিন্তু আমরা ১৮টি আসন জেতার পর সেই সন্দেহ আর নেই। এবার আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেই ছাড়ব। বিজেপি 
বাংলায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পরবর্তী সরকার গঠন করবে।
একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গান্ধী সংকল্প যাত্রায় খড়গপুর টাউন থেকে মকরামপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মিছিলে বেরিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি ২০০ আসন টপকে যাবে। এবার বিজেপির জয় কেউ আটকাতে পারবে না। তৃণমূলের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.