Header Ads

জলপাইগুড়িতে দেবী চৌধুরানি মন্দিরে খেপি মায়ের আরাধনায় মুসলিম মহিলা !

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : জলপাইগুড়ি শহরে কালীপুজোর দিন পূজিত হন খেপি মা। আর এই মায়ের আরাধনা করেন এক মুসলিম মহিলা, নাম মমতাজ মহম্মদ।
শহর সংলগ্ন গোশালা মোড়ে দেবী চৌধুরানী মন্দির। এই মন্দিরের দায়িত্বে রয়েছেন বছর পঞ্চাশের মমতাজ। দেবী চৌধুরানি উপন্যাসে এই মন্দিরের কথা উল্লেখ করেছেন সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম‌চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমান সময়ে সম্প্রীতির এক নজির তৈরি করেছে জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির মন্দিরটি। এখানে পঞ্চমুণ্ডির আসনে পূজিতা হন আউশ গ্রামের খেপি মা। পুজোর সব দায়িত্বই মুসলিম এই মহিলার ঘাড়ে। তবে মমতাজ মহম্মদই প্রথম মুসলিম নন। এর আগেও এই মন্দিরে এক মুসলিম উপাসক ছিলেন। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সুভাষ চৌধুরি জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রথা অনুযায়ী এই মন্দিরের পূজো হয়। এই মন্দিরে এর আগেও একজন মুসলিম ব্যক্তি পুজোর ভার নিয়েছিল। তিনি সমস্ত কিছুই কাজ করতেন। ওই পুরোহিতের পর মমতাজই এই মন্দিরের ভার নিয়েছেন। 
পুজোর ফুল, বেলপাতা আনা থেকে পুজোর বাসন মাজা, মন্দিরের সমস্ত কাজ একা হাতে সামলান মমতাজ। মমতাজের বলেন, '‌আল্লা ও ভগবানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। ভাল লাগে বলেই এই কাজ করি।'‌ জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির মন্দিরে শোনা যায়, ১৮৯০ সালে নরবলির অভিযোগে প্রাণদণ্ড হয়েছিল মন্দিরের কাপালিক নয়নের। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় বলিপ্রথা। কালীপুজোর দিন রাতভর পুজো চলে এখানে। প্রধান পুরোহিত সুভাষ চৌধুরি জানিয়েছেন, দেবীকে তিস্তার শোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভীড় জমান এই মন্দিরে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.