৬০ ফিট উঁচু রাজমহলে বিরাজিত হবেন লতাশীলের অসুরমর্দিনী'' মা দুর্গা
দেবযানী পাটিকার ।দুর্গা পূজা শুরু হতে আর মাত্র দুটো দিন হাতে রয়েছে ।বৃষ্টি পুজোর আনন্দ কে কিছুটা ম্লান করলেও লোকেদের মনে উৎসাহের অন্ত নেই।এর এর মধ্যেই চলছে মণ্ডপ সজ্জার কাজ।নগরের একটি বিখ্যাত দুর্গাপূজা হল লতাশীলের দুর্গাপূজা প্রতিবছর এ পূজাতে থাকে আকর্ষণীয় চমক। এবারও পূজার কাজ বিগত কয়েক মাস ধরেই শুরু হয়ে গেছে ।এবার এদের পুজোর ৪০ তম বর্ষ। এই পূজা সমিতি এবার স্বচ্ছতার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন ।প্লাস্টিক ও থার্মোকলের ব্যবহার কম করা হবে । মায়ের ভোগ বিতরণ করা হবে কলার পাতায় আর সাথে থাকবে মাটির গ্লাস। অনেকটা প্রাচীনকালের দুর্গাপূজার একটা অনুভব করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়াও মণ্ডপসজ্জা উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার লতাশিলের মাঠে বিশাল রাজমহল তৈরি করা হয়েছে। এবারের পুজোর বাজেট হলো ১৫ লাখ টাকা। এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন যে প্রতিবছর দর্শকদের আকর্ষিত করতে বিশেষভাবে দুর্গাপূজার মণ্ডপ তৈরি করা হয়। এবার এখানে তৈরী করা হয়েছে রাজমহল। বর্তমানে এর অন্তিম পর্যায়ের কাজ চলছে।রাজমহল ৪০ ফিট চওড়া আর ৬০ ফিট উঁচু হবে ।প্যান্ডেলে ভিতরে ও বাইরে আকর্ষণীয় আলোকসজ্জা দিয়ে প্যান্ডেল সাজানো হবে। তবে পুজোর পর বেঁচে যাওয়া ধন রাশি দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও সমাজ সেবার কাজে খরচা করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। দুর্গাপূজার চার দিন নাগারা নাম কীর্তন হবে। সুরক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে সমস্ত নির্দেশ পালন করা হবে ।যেমন সিসি ক্যামেরা ছাড়াও কমিটি থেকে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে ।পূজা সমিতির লোকেরাও চারিদিকে নজর রাখবেন ।পূজোর চার দিনই দুপুরে দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে মায়ের ভোগ।বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য মাঠে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে ।
কোন মন্তব্য নেই