Header Ads

পার্থকেই ফোন করে বসলেন বৈশাখী--চড়ছে জল্পনার পারদ

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : তাঁদের বিজেপিতে যোগদানের আগে কম বোঝাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়া থেকে শান্তি নেই মনে। দলে গুরুত্বহীন শোভন-বৈশাখী তাই বিজেপি ছাড়ার বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন আগে থেকে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির মঞ্চে না গিয়ে বৈশাখী আবার ফোন করে বসলেন পার্থকে। সেই ফোন নিয়েই জল্পনা শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক মহলে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়েই আমন্ত্রিত ছিলেন বিজেপির সভায়। তাঁরা অমিতের সভায় না গিয়ে দিনভর ব্যস্ত থাকলেন ব্যক্তিগত কাজে। আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন পর কলেজে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে উড়ে এল অকথ্য গালিগালাজ।
পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছয় যে বৈশাখী বাধ্য হন শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করতে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযোগ, মিল্লি আল আমিন কলেজের র এক অধ্যাপিকা সাবিনা নিশান ওমর তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বৈশাখীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
ই্স্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করার পর এদিনই প্রথম মিল্লি আল আমিন কলেজে পা রাখেন বৈশাখী। তিনি পৌঁছতেই মুহূর্তে বদলে যায় পরিস্থিতি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে উড়ে আসে নানা বাক্যবাণ, অকথ্য গালিগালাজ। তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে পার্থবাবুকে ফোন করেন বৈশাখী। এদিকে পার্থকে ফোন করায় শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
অমিত শাহের সভায় উপস্থিত না হয়ে এদিনই তিনি কেন মিল্লি আল আমিন কলেজে গেলেন, কেনই বা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ দেখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে বসলেন, তা নিয়ে অন্য গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
তবে অমিত শাহের সভায় উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, ব্যক্তিগত কাজ পড়ে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি যাওয়া। শোভনদাও আদালতের জরুরি কাজে আটকে পড়েছিলেন। তা না হলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সভায় উপস্থিত না থাকার ধৃষ্টতা ছিল না আমাদের। তবে তাতে জল্পনা থামছে না। জল্পনার পারদ চড়ছেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.