Header Ads

বাংলা আবার সর্বোচ্চস্তরে পৌঁছবে ! ফের সীমা লঙ্ঘন না করতে বার্তা রাজ্যপালের

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : তিনি কখনও সীমা লঙ্ঘন করবেন না। কেউ সীমালঙ্ঘন করবেন না। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বাংলা আবার সর্বোচ্চস্তরে পৌঁছবে। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের পুজোয় সস্ত্রীক হাজির হয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের। এর আগে কখনও সোনারপুর কিংবা কখনও পলতা, রাজ্যপালকে বলতে শোনা গিয়েছে সীমার মধ্যে থেকে কাজ করার কথা।
মহানবমীতে শ্রীরামপুরের চাতরা গড়গড়ি ঘাটে পুজোতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে সবাইকে সীমার মধ্যে থেকে কাজ করার কথা বলেন রাজ্যপাল। তিনি কখনই লক্ষণ রেখা পার করবেন না। পাশাপাশি রাজ্যে কেউ যেন এই লক্ষণ রেখা পার না করে তার জন্য বলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এরপর আব্দুল মান্নানের বাড়িতে তিনি প্রাতঃরাশ সারেন বলে জানা গিয়েছে।
শ্রীরামপুরে রাজ্যপাল বলেন, একসময়ে রাজ্যের স্থান ছিল দেশের মধ্যে সব থেকে ওপরে। এক মন, এক দিশায় কাজ করলে রাজ্য আবার সেই স্থান দখল করবে বলে আশাপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন স্বাধীনতার আগে অনেক বড় বড় মানুষ এসেছেন।
এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে তিনি বলেছিলেন প্রত্যেকটা মানুষের উচিত নিজের সীমায় থাকা। পরে উত্তর ২৪ পরগনার পলতায় গিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাজে বাধা দিলে তিনি ভাল ভাবে নেবেন না। পুজো উদ্বোধনের ফাঁকে তিনি বলেছিলেন, দেশের সংবিধান মেনে তিনি যে শপথ নিয়েছেন, তা তিনি সঠিকভাবে পালন করবেন।
পুজোর উদ্বোধনের ফাঁকে তিনি দুটি কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্যপাল বলেছিলেন, তাঁর কাজ হল সংবিধানকে রক্ষা করা আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সেবা করা। তাঁকে কাজে বাধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতেও অনুরোধ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
এদিকে রাজ্যপালের লক্ষণরেখা নিয়ে জ্ঞান দিলেন আইন বিশেষজ্ঞ ও বিশারদ তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, তিনি (রাজ্যপাল) যদি এটা বলে থাকেন, তাহলে খুব ভাল করেছেন। তবে তাঁকে (রাজ্যপাল) অনুরোধ করবেন আগে তেন তিনি বিজেপির সভাপতি এবং কর্মীদের বোঝান।
রাজ্যপালকে এদিন আক্রমণ করে প্রাচীন-মধ্য-আধুনিক ভারত ইতিহাস বিশেষজ্ঞ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস সম্পর্কে খুব একটা কিছু জানেন বলে মনে হয় না। তাঁর মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি চিরকালই ভাল ছিল, আছে, থাকবে। তিনি সবে এসেছেন তাই, পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তিনি খুব একটা কিছু ভাল জানেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন. ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় নিয়ে গিয়েছেন, তা হয়ত জানা নেই তাঁর( রাজ্যপাল)।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.