Header Ads

বিদেশির কলঙ্ক মোচনে সরকার পাশে থাকবে এই আশ্বাস পেয়ে দুলাল চন্দ্র পালের ৮ দিনের মরদেহ গ্রহণ করবে ছেলেরা

 অমল গুপ্ত,  গুয়াহাটি

ভারতীয় নাগরিক সাধারণ শ্রমজীবি মানুষ দুলাল চন্দ্র পালকে একপক্ষীয় ভাবে বিদেশি বানানোর প্রতিবাদে শোনিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলির অতি সাধারণ ঘরে বসে হত দরিদ্র তিন পুত্র যেভাবে  বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে, দেশ জুড়ে খবরের শিরোনাম দখল করেছে। তা এক বিরল দৃষ্টান্ত, রাজ্যের দুর্নীতিপরায়ণ বাঙালি নেতাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। 
গত ১৩ অক্টোবর থেকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বেওয়ারিশ লাশের মতো পরে থাকা বিদেশি তকমা সাঁটা  দুলাল চন্দ্র পালকে অবশেষে সম্মান সহকারে সৎকার করার প্রাথমিক ব্যবস্থা হয়ে গেছে। বিদেশি হিসাবে তাঁর আলিসিঙা গ্রামে সৎকার করার পর সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে গিয়ে স্বদেশী ঘোষণার সব ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল নিজে ওই গ্রামে গিয়ে দুলাল বাবুর প্রতি সম্মান জানাবে এই আশ্বাস পাওয়ার পর ছেলেরা বাবার মরদেহ গ্রহণ করতে রাজি  হয়েছে বলে সারা অসম বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন কর জানান। তিনি বলেন,আগামিকাল গুয়াহাটি থেকে মরদেহ ঢেকিয়াজুলি নিয়ে যাওয়া হবে, ফেডারেশনের সভাপতি দীপক দে ও অন্যান্যরা সঙ্গে যাবেন বলে অন্য এক সূত্রে জানা গেল।

 আজ ঢেকিয়াজুলিতে বিটিসি যুবছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি শ্যামল সরকার, স্থানীয় ফেডারেশন   নেতা বিপ্লব দাস  প্রমুখ  দুলাল চন্দ্র পালের পুত্র আশীষ পাল ও অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে কথা বলে আট দিনের মৃতদেহ নিয়ে যাবার কথাবার্তা চালাচ্ছেন বলে প্রদীপ রঞ্জন কর জানান। আজ রাত ১০ টা পৰ্যন্ত কথা বার্তা চলেছে। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলার পর বাবার মৃতদেহ গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিটিসি ফেডারেশনের সভাপতি শ্যামল সরকার আজ প্রশ্ন তোলেন, একজন স্বদেশী দুলাল চন্দ্র পালকে যখন বিদেশি সাজিয়ে মিথ্যা করে ডিটেনশন ক্যাম্পে ছুঁড়ে ফেলা হল তখন আসু,   অসম সাহিত্য সভা, অখিল গগৈ প্রমুখ জাতীয় নেতা সংগঠনগুলো কোথায় গেল? রাজ্যের বাঙালিদের বিদেশি সাজিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্প ছুড়ে ফেলছে সরকার, সবাই চুপ কেন? ফেডারেশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছেন, একপক্ষভাবে যাদের ডি ভোটার করা হয়েছে তা নতুন করে যাচাই করা হবে। ডিটেনশন ক্যাম্প থাকা বন্দীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ছাড়াও আর যাতে নতুন করে কাউকে ডি ভোটার বানানো না হয় তার জন্যে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হবে। অসম সরকারের পক্ষে স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলর শুভদীপ রায়, প্রাক্তন সাংসদ আর পি শর্মা এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন  করবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.