Header Ads

বিজেপিতে মোহভঙ্গ মাত্র ১০০ দিনেই ! পঞ্চায়েত পুনর্দখল তৃণমূলের

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় : দিন ১৫ আগে বাঁকুড়া তৃণমূলে 'ঘরওয়াপসি' হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে নাকাইজুড়ি অঞ্চলের প্রধান ও উপপ্রধান-সহ বেশ কিছু নেতা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। এবার বাঁকুড়ার ওন্দার কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ পাঁচ সদস্য বিজেপির মোহ কাটিয়ে ফিরলেন তৃণমূলে। ফলে অরূপ খাঁর গড়ে আরও একটি পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ফিরল তৃণমূল।
বাঁকুড়ার কল্যাণীতে এক জনসভায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীনা শর্মা-সহ পাঁচ সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। এই নয় সদস্যের পঞ্চায়েতের ছ-জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিল। তাঁদের পাঁচজন ফের ফিরলেন তৃণমূলে। একইসঙ্গে চূড়াণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্যও যোগ দিলেন তৃণমূলে।
লোকসভা ভোটের পর বিপর্যয় নেমে এসেছিল তৃণমূলে। বিভিন্ন এলাকায় দলছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে তৃণমূল। ফের সংঘবদ্ধ চেহারায় দেখা দিচ্ছে তারা। তারই ফলশ্রুতিতে একের পর এক পঞ্চায়েত পুনর্দখল করতে সক্ষম হচ্ছে তৃণমূল। একইভাবে বিজেপিকে পাল্টা ধাক্কা দেওয়ার মানসিক জোরটাও ফেরত পাচ্ছে তারা।
এবার লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার দুটি কেন্দ্রই হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তারপর থেকেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। তৃণমূল ভাঙিয়ে তারা বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। কিন্তু সেই জয়ের ১০০ দিন কাটতে না কাটতেই বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে পঞ্চায়েত পুনর্দখল করতে সমর্থ হল তৃণমূল।
এদিন তৃণমূলে ফিরে এসে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, পরিস্থিতির চাপে তৃণমূল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় দিদির উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা ভেবেই পুরনো দলে ফিরে এলাম। ফের তৃণমূলে ফিরতে পেরে তিনি খুশি বলে মত ব্যক্ত করেন রীনা দেবী।
তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অরূপ খাঁর খাসতালুক বাঁকুড়ার ওন্দা। লোকসভা ভোটের পর সেখানেই ভাঙন ধরে তৃণমূলে। তবে সেই ভাঙন সামলে ফের তৃণমূল সক্রিয় হয়ে উঠছে এলাকায়। আবারও তারা তাদের হারানো জমি ফেরত পাচ্ছে। পঞ্চায়েত গুলো ফের তাদের দখলে আসছে।
এদিন অরূপ খাঁ বলেন, লোকসভা ভোটের পর বিজেপির দখল নেওয়া কাঁটাবাড়ি ও নাকাইজুড়ি পঞ্চায়েত আমাদের দখলে এসেছে আগেই। এবার কল্যাণীও আমাদের দখলে এল। চুড়ামণিপুরেও আমরা আরও শক্তিশালী হলাম। তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাও বলেন, তাঁরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন, মানুষ ভুল বুঝতে পারছেন।
এর আগে বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে নাকাইজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূল বিধায়ক প্রবীণ নেতা অরূপ খাঁ। গ্রামীণ জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে যাঁদের যোগদান করিয়েছিল বিজেপি। তাঁদের অনেকেই ফিরে আসেছেন তৃণমূলে।
আর শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। তখন কাঁটাবাড়ি পঞ্চায়েত পুনর্দখল করে তৃণমূল। একমাসের মধ্যে তিনটি পঞ্চায়েত পুনর্দখল করল ঘাসফুল শিবির। বিজেপি লোকসভায় জেতার পর পঞ্চায়েতগুলি দখল করলেও একমাসও ধরে রাখতে পারল না ক্ষমতা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.